নিঃশব্দ রাতের আকাশ তলে,  
এলোমেলো শব্দের জলসিড়ি,  
স্বপ্নের ধারা বয়ে চলে নিরন্তর—  
অন্তরে বাজে এক নিরালা তন্ত্রী।  

কোথায় যে গিয়ে শেষ হয় স্বপ্নগাঁথা,  
তোমার কথার ঐ অলংকারে,  
তবু খুঁজে ফিরি হৃদয়ের ব্যথা,  
এই জীবনের মৃদু ধ্বনিতে হারে।  

তুমি এসে দিলে ছন্দের বাঁধন,  
এলোমেলো শব্দের স্রোতে,  
একটুকরো হাসির আলো,  
নেমে এল নিঃশব্দে নিঃকণ্ঠ জ্যোৎস্নার মতো।  

তবু বলিনি সব কথা,  
এই বুকে জমা রেখেছি যত,  
কিছু কথা ছুঁয়ে যায় নির্জনে,  
মনের গহীনে আঁকা রঙিন চিত্রটা।  

তোমার উপস্থিতি যেন একটি ঝরনা,  
এলোমেলো ধ্বনিতে রচিত,  
স্বপ্নের মায়া, কল্পনার রূপ,  
সব মিলে তৈরি এক অদ্ভুত রেখা।  

তোমার সেই কথা,  
যা বয়ে চলে জলসিড়ি হয়ে,  
আমার অনুভবের নদী,  
তোমার ভাষায় রঙিন হয়ে উঠে।  

তবু কোথাও যেন থেমে যায় স্রোত,  
তোমার স্পর্শে যে প্রতিধ্বনি,  
এলোমেলো শব্দে মিশে,  
এক আশ্চর্য অন্ধকারে আলোর খেলা।  

তোমার সেই কথার গতি,  
যা ছুঁয়ে যায় অন্তরে,  
নীরবতার ভাষায় মিশে,  
বুনে দেয় এক অনন্ত চিত্রকলা।  

এলোমেলো শব্দের জলসিড়ি—  
তবু থেমে থাকে না,  
তোমার সেই মধুর কণ্ঠে,  
রচে যায় এক নতুন পথের নাম।  

যতবার খুঁজে ফিরি—  
এলোমেলো শব্দে রচিত,  
তোমার সেই মৃদু সুর—  
এ হৃদয়ের প্রিয়, অমৃতরসে ভরা।