নিঃশব্দ রাতের গভীরতা,
ক্লান্ত দিনশেষে,
আকাশে উড়ে চলেছে অজস্র বলাকা,
চাঁদের রূপালী আলো,
নীল আকাশে ছড়িয়ে থাকে,
মৃত্যুর ভয়ে,
স্বপ্নের স্বর্ণালী নদীর তীরে,
যে গাছটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
তাহার শাখা গুলো স্তব্ধ হয়ে আছে
যেন জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করছে।

শহরের কোণে কোণে,
শূন্যতার হাতছানি,
মনের ভিতর চলছে যুদ্ধ,
অহমিকার মেঘে ঢাকা,
আশা আর হতাশার দ্বন্দ্ব,
ছেঁড়া চিঠির মতো,
যে চিঠি বয়ে আনে প্রেম,
কিন্তু কি জানি,
কবে ফিরবে সে সময়।

হাসপাতালের বিছানায়,
অসুস্থ শরীরে,
নষ্ট হয়ে গেছে এতদিনের সকল আশা,
কিছু স্বপ্ন উড়ে গেছে,
নিঃশব্দ এই পৃথিবীতে,
যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে,
হৃদয়টিকে খুঁজে পাই,
গভীর অন্ধকারে।

প্রকৃতির মাঝে,
বাঁশবাগানে কুঁড়েঘরে,
যেখানে একা একা বসে ভাবি,
জীবনের লুকানো সত্য,
আকাশের নীল রঙে,
বৃষ্টির মধ্যে তোমার স্মৃতি,
যা বার বার ফিরে আসে,
মনের অন্দরমহলে।

অন্য এক ভোরের অপেক্ষা,
সূর্যের প্রথম রশ্মিতে,
গান গাইছে প্রজাপতি,
জলহরির ঢেউয়ের মতো,
শান্তি নিয়ে আসে,
বহু বছর পর,
তবুও কেন জানি,
হৃদয় ভারাক্রান্ত।

মেঘের কোলে বসে,
আলোছায়ার খেলায়,
শূন্যতা যেন পূর্ণতা,
জীবনানন্দের স্বপ্নে,
কোনো এক সময়ে,
নদীর ঢেউয়ে হারিয়ে যায়,
অতীতের কষ্ট,
বৃষ্টির মত।

চোখের জলে ডুবে,
মনে পড়ে যায় তোমার কথা,
প্রেমের অমলিন ছোঁয়া,
যেখানে একটুখানি আশা,
স্বপ্নের মাঝে,
জীবনের অবিরাম যাত্রা,
কখনো থামবে না,
আলোর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।।