ক্রমশ একটি জীবন্ত লাশের মতো পড়ে থাকি চুপচাপ,
পৃথিবীর কোনো এক কোণে, নির্বাক মূর্তির মতো।
নিঃশব্দে দিন কাটে, রাতের অন্ধকারে,
যেন আমি এখানে একা, অস্পষ্ট এক আত্না।
চারপাশের মানুষজন চলাফেরা করে,
কথা বলে, হাসে, রোমাঞ্চে মেতে ওঠে।
কিন্তু আমি তাদের মাঝে, যেন এক ছায়া,
বন্দি হয়ে আছি, অনুভূতির জাল ভেঙে।
কিন্তু যখন আমার লেখা কবিতাগুলো আবৃত্তি হয়,
সেই মঞ্চে, যেখানে হৃদয়ের সুর বাজে,
অতীতের অবসান, নতুনের শুরুর পথ,
সেখানে আমি ধীরে ধীরে জেগে উঠি।
শব্দের মাধুর্যে, যেখানে বেঁচে থাকার আশা,
নতুন সুরের প্রতিধ্বনি, হৃদয়ে বাজে।
প্রতিটি পঙ্ক্তি যেন নতুন একটি প্রাণ,
মঞ্চের আলোয়, নিঃসঙ্গতা মুছে যায়।
কবিতার ভেতরে যে বেদনা লুকিয়ে ছিল,
সেগুলো এক এক করে প্রকাশ পায়,
জীবনের রক্তস্রোতের মাঝে,
আমি আবারো ফিরে আসি, নিজের কাছে।
শব্দগুলো আমাকে আলিঙ্গন করে,
আমার নিস্তব্ধ হৃদয়ে নতুন সুরের জন্ম দেয়।
যেখানে প্রতিটি অনুভূতি,
জাগ্রত হয়, এবং গুনগুন করে গান গায়।
মঞ্চে যখন কবিতা উচ্চারিত হয়,
আমি তখন আর নিঃশব্দ লাশ নই।
আমি একজন সৃষ্টিশীল প্রাণ,
মনে হয়, আবারো বেঁচে উঠছি।
কবিতার গহন মায়ায়,
আমি অনুভব করি, জীবন ফেরত এসেছে।
যখন শব্দেরা বলছে,
‘তুমি এখনো জীবিত, অনুভূতি তোমার আছে!’
আমি ক্রমশ এগিয়ে যাই সেই শব্দের পথে,
যেটা আমাকে ফিরিয়ে আনে জীবনের কাছাকাছি।
নিঃশব্দের মধ্যেও, আমি খুঁজে পাই,
মৃত্যু নয়, বরং জীবনের নতুন পরিচয়।