নীরবতার রঙ, আকাশে ভাসে; পাতা ঝরে, ঝরা ফুলের ছোঁয়া নিয়ে। হৃদয়ে যেন একটি গান বেজে উঠে, কেমন করে, কে জানে! সময়ের বাণী যেন উড়ে যায়, স্মৃতির সাথে, জড়িয়ে পড়ে কোনো অজানা পথের গায়ে।

সন্ধ্যা হলেই, বাড়ির কোণে, আলো-ছায়ার খেলা শুরু হয়। তবুও, কিছু দৃশ্য মনে পড়ে যায়, দিগন্তে মেঘেরা যখন মিলিত হয়। তারা যেন লুকিয়ে রেখেছে কিছু কথা, শব্দের পিঠে লিখে রেখেছে অসংখ্য অনুভূতি।

কোনো এক দিনে, গ্রীষ্মের রোদ্দুরে, চোখের সামনে ফুটে ওঠে স্মৃতির ছবিগুলো। নদীর ঢেউয়ে, বুকের গভীরে, সুরম্য একটা দাগ ফেলে যায়। মনে হয়, সময় কি সত্যিই চলে গেছে, নাকি ফিরে এসেছে?

সন্ধ্যাবেলার সেই শান্ত আবহ, তাতে মিশে যায় আশা-নিরাশার সুর। তারুণ্যের তালে, আগুনের শিখায়, জীবনের রঙ-বেরঙে চিত্র আঁকা হয়। প্রতিটি শব্দ যেন অবিশ্বাস্য একটি চিত্র হয়ে ওঠে, কল্পনার ডানা মেলে।

প্রেমের আলিঙ্গনে, হাসির ঝলক, সুখের দোলনার মতো ভেসে ওঠে। আকাশে উড়ে যাওয়া পাখিরা, আবার ফিরে আসে, মনে করিয়ে দেয় একান্ত মুহূর্তের কথা। অশ্রু শুকিয়ে যায়, কিন্তু স্মৃতির খোঁজে চেয়ে থাকে মন।

সন্ধ্যা শেষে, রাতের আঁধার, মুক্তোর মতো ঝিলমিল করে। এক একটি তারা, আমাদের প্রেমের চিহ্ন, নিভৃতে গাইছে এক নতুন গান। এই নীরবতা, কত কথা বলে, কল্পনার ডানায় চড়ে ভাসতে থাকে।

প্রতিটি কণ্ঠে, প্রতিটি দৃষ্টিতে, জীবনের ছন্দ যেন বাঁধা পড়ে। সুখ-দুঃখের যাত্রা, অজানা রাস্তায়, পথ ধরে চলে। মনে হয়, পৃথিবীটা সুন্দর, যখন আমরা একত্রে থাকি।

সেই স্মৃতি, সেই আলোর খোঁজে, রাতের নীরবতায়, চলতে থাকি। বাঁচার স্বপ্নে, প্রতিদিনের যাত্রায়, হৃদয় জানে একটিমাত্র কথা: জীবন চলবে, জীবনের রঙে!

নীরবতার রঙ, অনুভূতির স্তর, চিরকাল ধরে, আমাদের সঙ্গী হবে। জীবনের এই পথ, প্রেমের এই জোয়ার, কখনও থামবে না, চলতেই থাকবে।