একাকী দুপুরগুলো যেন অপেক্ষার প্রহরী হয়ে দাঁড়ায়,
আমার জানালায় ঝুলে থাকে ক্লান্তির মতো—
চেনা শব্দের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে যাই।
প্রতিদিন কিছু না বলা কথা জমিয়ে রাখি বুকের গভীরে, সময়ের নিস্তব্ধতা ফোঁপায় আকাশের নীলে,
আলো ছুঁয়ে দেখি, ছায়ায় ডুবে যায় সমস্ত ইচ্ছেরা।
শহরের প্রতিটি মোড়ে গোপন কিছু স্মৃতি দাঁড়িয়ে থাকে, জমাট বাঁধা কুয়াশার মাঝে একফোঁটা রোদ খোঁজে মন, নিঃশব্দের তালে তালে বেজে যায় আমাদের অমরতার গান।
তোমাকে ছুঁতে চাইনি,
তবু স্পর্শের আকাঙ্ক্ষায় ভয়ে কেঁপে ওঠে মন,
একটাই চাওয়া, সেই মেঘের ভেতর একটুখানি আশ্রয়,
আশ্রয়ের গল্পে লেখা থাকত আমাদের হারানো সময়ে।
চোখের পলকে বদলে যায় দৃশ্যপট,
জানালার পাশ দিয়ে বয়ে যায় কিছু অসমাপ্ত দিন,
আঁকাবাঁকা পথে কোথায় যেন ঝরে পড়ে ফেলে আসা দিনগুলো।
তুমি আর আমি একে অপরের ছায়া হয়ে থেকেছি—
কথার ভেতর লুকিয়ে থাকা অভিমান,
চোখের জল যেখানে থেমে গেছে সময়ের নদীতে।
আমাদের সম্পর্কের জট খুলতে খুলতে রাত পোহায়,
অন্ধকারের বুকে অজানা এক আলো এসে থেমে যায়,
তুমি আর আমি একে অপরের গন্তব্য খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত।
অন্তর্গত সেই সব রাত্রিগুলো, যেখানে কোনো সমাপ্তি নেই— শুধু দীর্ঘশ্বাসের ভাঙা সুরে গেঁথে থাকা অতীত,
আর কিছু অচেনা রোদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা দিন।
শূন্যতায় ভরা এই মায়াবী পৃথিবী,
আমরা দুজনেই হেঁটে যাই নিঃশব্দের পথ ধরে,
কোনো এক নিভৃত দুপুরে, হয়তো দেখা হবে আবার।