আকাশ ভেসে যায় বুনো হাওয়ার পরশে,
ফসলের মাঠে ধানশীষ গুঞ্জন তোলে;
ম্লান বিকেলের আভায় জেগে ওঠে স্মৃতি,
তপ্ত বালির রাশির নিচে চাপা সময়।
তুমি তখনও পথ চলেছিলে নিঃশব্দে—
পায়ের ছাপগুলো মিশে যায় দিগন্তের ছায়ায়,
কোনো এক নীলাভ গোধূলির সুরে সুরে,
অন্ধকারে বিলীন সেই গাছের পাতারা।
তোমার চোখের সেই সুধার মতো নীরবতা
মিশে আছে আজও নদীর কালো জলে,
কথা ছিল ভাঙা বকুলের মতো,
নিঃসঙ্গতায় জমেছে মৃত পাতার ছায়া।
নিস্তরঙ্গ সন্ধ্যায় যখন পথ হারায়
কোনো এক ফসলভরা গ্রামপথে—
আমাদের কথা তখনও খুঁজে ফিরি,
রূপালী চাঁদের আলোয় আঁকা পদ্মপুকুরে।
তুমি বলেছিলে একদিন, আমরা দেখব
জোনাকির আলোর নিচে পাথরখণ্ডের মতো,
কিছু অব্যক্ত স্মৃতির গল্প,
যা কেবলই হারিয়ে যাওয়ার আগ্রহে জাগে।
তবুও দেখি—নিঃসীম মাঠের আলেয়া
ধূসর মেঘের নীচে ঝরে পড়ে,
ফিরে আসে কালের করুণ রংয়ে আঁকা
একটি জীবন, তুমি আর আমি।
এমন এক সন্ধ্যায় এসে দাঁড়াব আবার,
যেখানে হাওয়ায় ভেসে যাবে আমাদের সব কথা,
আর স্মৃতির কুয়াশা ঘেরা পথে—
তুমি শুধু থাকবে, যেন দূর নক্ষত্রের আলো মেখে।।