হাঁটছি আমি শহরের পথ ধরে,
ভাবনারা দংশিত বিষ,
শ্বাস নিতে গেলে যেন বিষাক্ত বাতাসে মরে যায় নিশ্বাস।
যেন এক রক্তাক্ত গান এই নগরের ঘামে ভেজা পথ,
যেখানে সব মানুষই শুধু একেকটা চলন্ত লাশের সঙ্গ।

দোকানের ভিড়ে ভাঙা স্বপ্নেরা লুটোয় মাটির ওপর,
কেউ দেখে না, কেউ শোনে না,
নেই কোনো সহানুভূতির পরশ।
চোখে চোখে বিষ, হাতে হাতে বাণিজ্যের রক্তের ছাপ,
এই শহরে কোথায় তবে প্রেমের লালিত হৃদয়ের প্রণাম?

শহরটা যেন এক আদিম যুদ্ধক্ষেত্র,
চাহিদার বুনো ঝড়,
তবুও হেঁটে যাই বীরের মতো, যদিও ভেতরে একাকী নির্লিপ্ত রোদ্দুর।
এই মুক্ত বাতাসেও কী যেন নেই,
সব কেমন অবাস্তব আজ,
বেঁচে আছি যেন কেবল এই মৃত্তিকার করুণ পাষাণের মাঝে।

ভালোবাসা, স্বাধীনতা—
সবই কি এখন শুধুই বিজ্ঞাপনের কথা?
কোথাও নেই মুক্তির স্বর, সবখানে বাজারের দামির হাস্য।
মিথ্যের বুকে চেপে বসেছে জীবন,
সত্যের কথা নেই আজ,
যেনো স্বাধীনতার নামে মিথ্যার বন্দিত্বে আটক সমস্ত কাজ।

জীবন এক রঙ্গমঞ্চ,
প্রত্যেকেই অভিনয় করে নিজের স্বার্থে, হৃদয়হীন,
আবেগহীন এই শহর যেন মরা নদীর দারুণ বিপ্লব।
হয়তো এমনই থাকবে দিনগুলো,
এমনই পুড়বে সময়ের গা,
একদিন নিঃশেষে হারিয়ে যাবে মানবতার কাঁদুনে সুরের ধারা।

তবুও হেঁটে চলি,
তবুও চাই বুক ভরে নিই বিষাক্ত বাতাস,
জীবনটা আসলে এতটাই বিষণ্ণ যে মৃত্যুতে খুঁজে নিই আশ্বাস। এই পথে আর কেউ নেই,
কেউ নেই পাশে, শুধু বিষাদের গান,
আমি শহরের পথে দাঁড়িয়ে শুনি মৃত্যুর চিরকালীন আহ্বান।