কি নির্মম লাশ কাটা ঘর,
বুকটা ফেড়ে দেখতে চায় তার গভীরতা,
লিভার, ফুসফুস, কিডনি—সব বের করে সাজিয়ে রাখে টেবিলের পাটাতনে।
রাতের অন্ধকার, স্তব্ধ প্রান্তর,
বাতাসে কাঁদে চাপা কান্না,
মৃতের নিঃশ্বাস থেমে যায় এখানে,
নীরবতা সব আঘাতের পয়গাম আনে।
ধাতব হাতিয়ারের নির্দয় আঘাত,
সুঁচের ধারালো স্পর্শ,
শিরা-উপশিরায় খুঁজে ফিরে,
রক্তের প্রতিটি বিন্দু নিঃশেষ।
নাড়ীর টান, পেশীর টানাপোড়েন,
যা ছিল একদা প্রাণবন্ত,
আজ নিথর দেহ, নীরব ব্যথার গুঞ্জন,
শূন্যতা মুখর হয়ে ওঠে।
রক্তাক্ত হাত, নিস্পন্দ দেহ,
নীরব কান্নার সুর,
এই ঘরটি সাক্ষী হাজারো লাশ,
যাদের গল্প অজানা, অগোচর।
প্রত্যাশা, প্রার্থনা, সবকিছু হারিয়ে যায়,
জীবন-মৃত্যুর মাঝে সীমানা,
রক্তের লালে ঝলমল করে।
ফুসফুসের শ্বাস, কিডনির নিঃশেষ সংকেত,
সবই একে একে বলে যায়, জীবনমৃত্যুর অনন্ত ব্যাকরণ।
লাশ কাটা ঘরের নীরব ভাষা,
বোঝে না কেউ জীবিত,
এখানে নিথর দেহ, জীবনের অনুত্তরিত প্রশ্ন,
চিরন্তন আক্ষেপ।
লাশের স্তূপ, আশা-নিরাশার কোলাহল,
সবই মিশে যায় এই ঘরের নির্জনতায়,
কবরের স্তব্ধতায়।
প্রতিটি কাটা ঘা, প্রতিটি রক্তের ধারা,
বলে যায় জীবনের ক্ষণস্থায়ী গান,
আর মৃত্যুর অনিবার্য কাব্য।
এই ঘরের প্রতিটি ইঞ্চি, প্রতিটি নিস্তব্ধতা,
বুকে ধরে থাকে শত সহস্র জীবনের অমোঘ কাহিনী।
লিভার, ফুসফুস, কিডনি—
সবই আজ শুধুই এক নিথর স্মৃতি,
এই ঘরের গভীরতায় থেমে গেছে তাদের জীবনের গতি।
নির্মম লাশ কাটা ঘর, বুকটা ফেড়ে দেখার গভীরতা,
এখানেই মিশে যায় জীবনের আশা,
আর মৃত্যুর অনন্ত যাত্রায়।