আমার চোখে আজ ভিজে যায় পৃথিবীর গাছপালা,
ঝড়ের গভীর সুর শুনে আকাশ ঝুঁকে পড়ে তবু—
জেগে ওঠে দুপুর, হাওয়া যেন ঘুমিয়েছে ঘাসে,
নদীর ভেতরে ঢুকে যেন বুনো সাপের কথা বলে।

আমি হেঁটে যাই সময়ের সুনসান গহ্বরে—
পৃথিবীর সব বৃক্ষপত্র আজ মৃতের মতন দাড়ায়।
রাত যখন আসে, নক্ষত্র জ্বলে—
অথচ কোন আলো নেই,
মাটির গভীরে ঢুকে পড়ে তারা, নীরবতার মতো।

বাঁধনহীন মেঘের ছায়া, রক্তের মতো কোলাহল—
ভাঙা পাথর মিশে যায় পথের বাঁকে নির্জনে।
একা দাঁড়িয়ে দেখি, আকাশ ছুঁয়ে ফেলে রেখেছে স্মৃতি,
অতীতের অরণ্যজীবী দিনগুলো আজ বেহুলা হয়ে ফিরে আসে।

আমার বুকের ভেতরে জমে থাকে কালো নদীর ঢেউ,
অন্ধকারের গভীরে আমি হারিয়ে যাই, নদীর স্রোতে—
বহুদিনের মৃত প্রান্তর আবার জেগে ওঠে—
মৃত্তিকার স্পর্শে জীবনের গল্পেরা ফিরে আসে।

আমার চোখে আজ বসে থাকে রোদমাখা বিকেল,
বৃষ্টিতে ভেজা দুপুর ডুবেছে নির্জন আকাশে।
তুমি আসো না, আর আসবে না—
এমন শূন্যতার সুরে
আমার শহরের সমস্ত রাস্তাগুলো ফিরে যায় দূরে।

শীতল হাওয়ায় ভাঙা ডানা ছুঁয়ে যায় পাখিরা,
তবুও কিছু কথা রয়ে যায় বাতাসে, অচেনা ছায়ায়—
আমার সময়, তোমার মুখখানি ঘুমিয়ে গেছে দূরপ্রান্তে,
একাকীত্বে ঢেকে রেখেছে শূন্যতার সব কথা।