দেখেছি তোকে, জননী, শতাব্দীর গৌরবে
তোর প্রতিটি শিরায় বইছে সাহস, অনুপ্রেরণা।
গ্রীষ্মের উত্তাপে তুই পুড়ে গেছিস বারবার
বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছে, করেছে তোকে সবুজ।
তোর গাঁয়ে গাঁয়ে লেখা ইতিহাসের গল্প
শিখিয়েছে আমাদের জয়ের মন্ত্র, বাঁচার প্রেরণা।
তুই রক্ত দিয়ে লিখেছিস স্বাধীনতার কথা
তোর প্রতিটি ধুলিকণায় মিশে আছে ত্যাগের গন্ধ।
তোর আকাশে উড়েছে পাখিরা, নীলিমা ছুঁয়ে
তোর মাটিতে ফুটেছে ফুল, খুশির পরশ নিয়ে।
তুই জন্ম দিয়েছিস মহাপুরুষদের, সৈনিকদের
তাদের বীরত্বে তুই সিক্ত, গর্বিত, অনুপ্রাণিত।
তুই যে মাটির টানে ছুটে আসিস, ফিরে ফিরে
তোর বুকেই পেতেছি আমরা স্বপ্নের বাসা।
তোর প্রত্যেকটি নদী, পাহাড়, বন, ক্ষেত
তুই যে আমাদের প্রাণের স্পন্দন, হৃদয়ের ধন।
বলেছি তোকে, হাল ছাড়িস না, জননী
তোর শিকড় যে গভীরে, অটুট, দৃঢ়।
তুই যে আমাদের সকলের গর্ব, ভালোবাসা
তোর প্রতিটি ক্ষণে মিশে আছে আমাদের প্রার্থনা।
তোর বুকে যে বয়ে যায় আশা, ভালোবাসার স্রোত
তুই যে আমাদের পথ প্রদর্শক, আলোর দিশারী।
তোর পায়ের তলায় যে সুর, তালে বেজে উঠে
তুই যে আমাদের আত্মার স্পন্দন, হৃদয়ের গান।
তুই যে আমাদের সকলের, মাতৃভূমি আমাদের প্রাণ।
তোর আকাশে উড়বে পতাকা, গৌরবের চিহ্ন হয়ে
তুই যে আমাদের স্বপ্নের দেশ, ভালোবাসার ঘর।
বলেছি তোকে, মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকিস, জননী
তোর শিকড় ছড়িয়ে থাকুক চিরকাল, সবুজে সিক্ত।
তুই যে আমাদের আশ্রয়, প্রেরণা, জীবনের রশ্মি
তোর প্রতি ভালোবাসা জানাই, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।