শৈশব পেরিয়ে কৈশোরের দ্বারে
জীবন থমকে দাঁড়ায়,
অমানবিক দুঃশাসনের চোখে চোখ পড়ে
কাঁপতে থাকে সেই শরীর,
যা আর থামতে জানে না।
নিয়তি টেনে নিয়ে যায় তাকে
ন্যায়ালয় অবলোকন করে,
আর ফেলে দীর্ঘশ্বাস—
কোনো প্রতিকার নেই তার কাছে।
নিয়ন আলোর গণ্ডিতে ঘেরা চারিদিক,
শূন্যতার বিছানায় শুয়ে থাকে
বিপন্ন সেই কিশোরী দেহ।
মৃত বিবেকের নিলামে
বেচা-কেনা হয় তার জীবন।
নগ্ন অভিশাপেরা দখল করে
তার নারীত্ব,
অশ্রুসিক্ত চোখে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে
অবর্ণনীয় সেই যন্ত্রণা।
প্রতিদিন, প্রতিরাতে
ধর্ষিত হয় তার আকাঙ্ক্ষা—
রক্তের দাগ দেখে চিৎকার করে ওঠে
যারা ছিল নিরাপদে।
সমাজ কি নিবে তার দায়ভার?
প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর কিনারায় দাঁড়ায়
লজ্জার মুখ,
যা সুশীল সমাজে পরিণত হয়েছে
নিখাদ বিনোদনে।
রক্তের দাগ শুকিয়ে যায় একসময়
বুকের তলদেশে,
নীরব কষ্টের স্রোতধারা
বইতে থাকে ক্রমাগত,
নিভৃতে মরে যায় না বলা কথাগুলো।
হে জীবন, বলছি তোমাকে—
আর কতকাল এভাবে মুকুল সমেত
ফুটে উঠবে না ফুল?
শীতের শেষে, সবুজের আচ্ছাদন
একটু একটু করে মুছে যায়।
তুমি কি শুনতে পাও তার চিৎকার?
অশ্রুঝরা গান
যা কেউ শোনে না,
শেষে লজ্জার মুখও
ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয়।