জলজোছনার নরম আলোয় ভিজে যায় পুরনো পুষ্পবন, নিশীথ রাতের নিঃশব্দে নদীর পাড়ে বাতাসে কাঁপে নিঃশ্বাস—
সেই নদী, যেখানে ছায়া ফেলে বটের শাখা,
যেখানে সময় থমকে থাকে, অজানা এক রহস্যের কোলে। পায়ের নিচে ঘাসের শীতলতায় শুনি
অজানা পদচারণার ছন্দ, যেন দূরের পরীর মৃদু হাসি।

আকাশে আজ কোনো অন্ধকারের দাগ নেই,
চাঁদের বুক থেকে জলজোছনার পরশে
নেমে আসে এক স্বপ্নিল আলোকমাল্য।
মনে হয়, শতাব্দীর সব বিস্মৃত স্বপ্ন
ধূসর ভোরের কুয়াশায় জেগে ওঠে নতুন করে।
তুমি সেই জলজোছনার ঝিলমিল পথে হেঁটে যাও,
শস্যক্ষেত্রের ফিসফিসে সুরে লুকিয়ে থাকে পুরনো বেদনাগুলো,
জন্মান্তরের মায়া হাওয়ায় হাওয়ায় মিশে যায় নিঃশব্দে।

একদিন, এই জলজোছনা কেঁদেছিল হারানো এক প্রেমের জন্য,
কোনো এক গভীর জলের কূলে,
যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল চিরচেনা নিঃসঙ্গতা।
মনে হয়, এই জোছনারা সব প্রশ্ন রেখে যায় চুপিসারে—
আমাদের জীবনের প্রতিটি সন্ধ্যায়,
যখন আমরা হারাই, আবার খুঁজি
একটি হারানো মুখ, একটি ম্লান স্মৃতি,
জলজোছনার বুকেই লেখা থাকে সেই অপূর্ণ কবিতা।