আমি বৃক্ষ হব,
ভালোবেসে মাটির গভীরে ছড়িয়ে দেবো আমার শিকড়,
নিবিড় অন্ধকারে স্পর্শ করবো পৃথিবীর হৃদয়।
মাটি যখন আঁকড়ে ধরবে আমাকে,
আমি তখন স্নেহের সুরে জাগিয়ে তুলবো তার গভীর প্রান্তর।
আমি হবো আশ্রয়,
পাখিদের কূলে কূলে গুঞ্জনে ভরে তুলবো আমার শাখা,
হাওয়ায় ভেসে আসবে তাদের সুর,
তোমার মনও যেন সেই সুরে বাঁধা পড়ে।
তপ্ত রোদে ছায়া হব,
তোমার ক্লান্ত শরীরে ছুঁয়ে দেবো শান্তির ছোঁয়া,
বাতাসে নাড়িয়ে দেবো আমার সবুজ পাতা,
তোমার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে আমার মিষ্টি শীতলতা।
কখনো মেঘের সাথে ঝরে পড়বে বৃষ্টির ফোঁটা,
তোমার বুকে ভিজিয়ে যাবে আমার অশ্রুবিন্দু।
শুকনো পত্ররা যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়বে,
তোমার মনেও সেই শীতের আসরের শিরশিরানি বাজবে।
আমি হবো সেই বৃক্ষ,
যার গভীর শিকড়ে জমে থাকবে ভালোবাসার মাটি,
আমার শিকড় যখন গভীরে প্রবেশ করবে,
পৃথিবীও যেন তার শক্তি আমার মধ্যে সঞ্চারিত করবে।
কালের পরিক্রমায় আমি শিখবো সহ্য করতে ঝড়ের আঘাত,
তুমি যখন আমার পাশে দাঁড়াবে,
তোমার শক্তি আমার মধ্যে প্রবাহিত হবে,
আর আমি তখন আরও দৃঢ় হবো।
আমার ডালপালা ছড়িয়ে দিবো চতুর্দিকে,
তোমার হৃদয়ে গড়ে তুলবো এক গভীর বন,
যেখানে তুমি খুঁজে পাবে মুক্তির স্বাদ,
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে মিশে যাবে সবুজের ঘ্রাণ।
পৃথিবীর প্রতিটি বিন্দুতে ছড়িয়ে পড়বে আমার অস্তিত্ব,
আর তুমি যেন সেই অস্তিত্বের সাথে এক হয়ে যাবে।
আমি হবো জীবনের প্রতীক,
তোমার হৃদয়কে ভালোবাসার রসে সিক্ত করে তুলবো।
তুমি যখন আমার ছায়ায় দাঁড়াবে,
তোমার আত্মা যেন প্রশান্তির জলে ভিজে যাবে।
আমি সেই বৃক্ষ হব,
যার শিকড়ে লুকিয়ে থাকবে মাটির গভীরতার রহস্য,
তুমি যখন আমার দিকে তাকাবে,
তোমার চোখে ফুটে উঠবে জীবনের আসল সৌন্দর্য।
আমার প্রতিটি পাতায় জমা থাকবে সময়ের কথা,
প্রতিটি ডালে মিশে থাকবে জীবনযুদ্ধের স্মৃতি।
আমি হবো শক্তির প্রতীক,
তোমার আশ্রয় হয়ে তোমাকে সুরক্ষা দেবো।
তুমি যখন ক্লান্ত হবে,
আমার ছায়ায় বসে তুমি খুঁজে পাবে শান্তির পরশ।
আমি বৃক্ষ হব,
ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধা পড়বো মাটির সাথে,
আর সেই বন্ধনেই গড়ে তুলবো এক অনন্ত স্বপ্নের জগৎ।
তুমি যখন সেই জগতে প্রবেশ করবে,
তোমার হৃদয় পূর্ণ হবে অফুরন্ত আনন্দে।
আমার শিকড়ে জমা থাকবে প্রতিটি সময়ের সঙ্গীত,
তুমি সেই সঙ্গীতে খুঁজে পাবে জীবনের অর্থ।
আমি বৃক্ষ হব,
তোমার জীবনের প্রতিটি মূহূর্তে আমি পাশে থাকবো,
ভালোবাসার ছায়ায় তোমাকে ঢেকে রাখবো।