জোসনা রাতের পাঁজর ছুঁয়ে
দুঃখগুলো যখন পাশে এসে বসে,
তখন আমি শব্দের একাকী নদীতে হেঁটে যাই।
পেছনে পড়ে থাকে অন্ধকারের জমাট পাহাড়,
আর সামনে আলোছায়ার দোলচাল।
আমার মনোভাব জোছনার মতো,
স্পষ্ট অথচ অমসৃণ,
যেখানে দুঃখের ছায়া ঘোরে চাঁদের আলোর সাথে।

আমি দেখি,
তুমি আছো, কিন্তু পাশে নেই।
তুমি কথা বলো, কিন্তু কণ্ঠস্বর নেই।
তোমার হাসি ভেসে আসে বাতাসে,
কিন্তু তার গভীরতা নেই,
শুধু আছে ফাঁকা শব্দের সুর।

এই জোছনার রাতে
বৃথা শব্দরা আমাকে ঘিরে রাখে।
তারা বলে, “তোমার দুঃখগুলোও তো তোমার,
তাদের সঙ্গে থাকো,
তারা তোমাকে ছেড়ে যাবে না।”

আমি দুঃখের হাতে হাত রাখি,
তাদের ঠোঁটের ফাঁকে দেখি অভিমান।
তারা আমাকে বোঝায়,
আমাদের জীবন মানেই তো
একগুচ্ছ অপূর্ণতার সুর।

আমি তাদের কথায় সায় দিই,
কারণ জানি,
জীবনের প্রতিটি দুঃখ
আমারই আয়নার প্রতিবিম্ব।

এমন রাতগুলোতে,
আমি শব্দের পাতায়
অজস্র শব্দের গুচ্ছ বুনে যাই।
সেগুলো কখনো কবিতা হয়,
কখনো হয় শুধু নিঃশব্দের প্রতিবিম্ব।

তবুও আমি হাঁটি।
আমি শব্দ খুঁজি।
আমি দুঃখ খুঁজি,
কারণ দুঃখই তো আমাকে শিখিয়েছে
জীবন মানে খাঁটি জোছনার আলো,
যা কখনো পূর্ণ, কখনো অসম্পূর্ণ।

তুমি আসবে কি?
এই জোছনার রাতে
আমার হাত ধরে
এই দুঃখের ঘনঘটা ভেঙে?
নাকি আমি একা থাকব,
শব্দের নদীতে হারিয়ে যাবো,
দুঃখের জোছনায় ডুবে?

জানি না,
তবুও শব্দেরা বলে,
“চলো, আমরা গল্প লিখি।
আমরা বুনে যাই,
জোছনা আর দুঃখের ফাঁদে
একটি নিরব কবিতার ছন্দ।”