জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে,
পিছন ফিরে যখন তাকাই,
শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়,
আলো-আঁধারের স্রোতে ভেসে যায়।
যখন ছিলাম ছোট্ট শিশু,
অযুত কল্পনা মনের ভেতর ভাসতো,
হাসি-খুশির দিনগুলো,
মাটির ঘ্রাণে মনটা ভরে যেত।
মা'র কোল, বাবা'র হাত,
সেই আদর, সেই ভালোবাসা,
সুখের মায়াজালে বাঁধা জীবন,
কত না ছিল প্রাণের খেলা।
পুকুর পাড়ে পুকুরের জলে,
রোদেলা দুপুরে আম গাছ তল,
সেই দিনগুলোর স্বাদ,
মনের আকাশে আজও তাজা।
সখিদের সাথে দোলনা খেলা,
রঙিন পাখিদের গান,
সেই স্মৃতিরা আজও বেঁচে আছে,
হৃদয়ের অন্তর্দেশে।
প্রথম বৃষ্টি, কাদা-জল,
কাগজের নৌকা ভাসানোর মজা,
বাতাসে উড়ে যেত রঙিন স্বপ্ন,
শৈশবের সেই সোনালী অধ্যায়।
স্কুলের বেলা, খেলার মাঠ,
অভিমানী চোখের কান্না,
বন্ধুত্বের অটুট বাঁধন,
আজও মনের গহীনে সযত্নে রাখা।
নদীর ধারে সন্ধ্যার আলো,
জোনাকির মেলা,
সেই অনন্ত সুখ,
মনে পড়ে, হৃদয় কাঁপে।
বড়দের চোখে ছোট্ট মন,
ভুলভ্রান্তি, শেখার সময় এখন,
সেই নিষ্পাপ জীবন,
আজও স্মৃতির পাতায় লেখা।
আলোর প্রদীপ হাতে ধরে,
ঘরের কোণে গোপন স্বপ্ন,
সেই শৈশবের স্বপ্ন আজ,
জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে।
হৃদয় মাঝে বাজে স্মৃতির বীণা,
সেই সুরে ভরে ওঠে মন ও প্রাণ,
শৈশবের সেই দিনগুলি,
আজও রাঙিয়ে রাখে এই জীবন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে,
পিছন ফিরে যখন তাকাই,
শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়,
আলো-আঁধারের স্রোতে ভেসে যাই নিরন্তন।।