ধ্বংসস্তূপের আঁধার ভেদ করে
নিঃশব্দে এগিয়ে আসে হামাগুড়ি দিতে দিতে,
অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া সেই মুখখানি,
আলো খোঁজে নিস্তব্ধতার ছায়াতলে।
ধূলির ঝড়ে মোছা ইতিহাসের পাতা,
জ্বলে উঠলো জীবনের এক নতুন অধ্যায়,
বিপন্ন শিরদাঁড়া তবু শক্ত হবার জন্য,
লড়ে চলে ছিন্নপত্রের মত অবিরত।
ভাঙা স্বপ্নের শিকল ভেঙে দেয় জোরে জোরে,
তবুও নতুন দিনের আলো ছুঁতে হবে চরমে,
হাত পেতে ধরলো আকাশের নীল প্রান্তর,
জেগে উঠলো সবুজ শ্যামল ধরা আকাশ।
স্মৃতির ধ্বংসাবশেষ ঘিরে জমে থাকা,
কত জনের ব্যথা নীরবতায় নীরব,
তবু লড়াই চলে সেই মলিন চোখে,
শুধু একটুখানি আলো চাই আকাশে।
মৃতপ্রায় আশা পুনরুজ্জীবিত হয়,
ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে জেগে উঠে,
পথ চলতে হবে, বন্ধনের বদ্ধ জীবনে,
তবু জীবন গড়ে উঠে ছিন্ন ধ্বংসের ভিতর।
পথিক আসে, পায়ে পায়ে হারানো পথে,
তবুও সাহস ধ্বংসস্তূপের মাঝেই জন্ম নেয়,
পুনর্জন্মের আলো ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে,
হামাগুড়ি দিতে দিতে উঠে দাঁড়ায় জীবন।
বিরহের তপ্ত দিনে, নীরব নিশীথে,
কাঁপে মাটির তল, উঠে জীবন আবার,
জ্বলে ওঠে অগ্নিশিখার মতো প্রাচীর,
সেই ধ্বংসস্তূপেই জীবন ফিরে পায়।
ধূলির সাথে মিশে গিয়েছিল যে স্বপ্ন,
সেই স্বপ্ন আজ জাগ্রত করে আকাশে,
উঠে দাঁড়ায় নবজাগরণের আলোয়,
ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকেই শুরু হয়।
অন্ধকারকে চিরে দিয়ে চলে জীবনের পথ,
ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকেই জেগে উঠে,
হামাগুড়ি দিতে দিতে ছুঁয়ে যায় আকাশ,
এই ভাবেই জীবনের নতুন সূচনা ঘটে।