মেয়েটির শরীরের ছেঁড়া কাপড়ের মতো,
ছেঁড়া ছিল তার আত্মা,
সে ছিল অন্ধকারের যাত্রী,
জীবন তার কাছে ছিল শুধু একটা দীর্ঘ পথ,
যেখানে কাঁটার মতো বিঁধেছিলো সময়,
যেখানে প্রতিটা মুহূর্তে
কেউ না কেউ গেঁথে দিচ্ছে অপমানের তীর।
রাতের আঁধারে, শহরে চলছিল তার হাহাকার,
একটি মেয়ে, যে জীবন কাটালো দুঃখের মাঝে,
তার চোখে ছিল এক বদ্ধ জলধারা,
যা কেউ কখনো দেখেনি,
তার কণ্ঠে ছিল এক চাপা আর্তনাদ,
যা কেউ কখনো শোনেনি।
শহরের অলিগলি তার ছিল খুবই পরিচিত,
তবুও কোথাও সে খুঁজে পায়নি আশ্রয়,
প্রত্যেকটা দরজা ছিল তার জন্য বন্ধ,
প্রত্যেকটা মানুষ তার জন্য ছিল নির্বাক,
সে ছিল একা, অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া এক নাম,
যার কোনো অস্তিত্ব ছিল না,
ছিল শুধু এক লড়াই,
নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গতায়।
ধর্মের শহরে তার জন্য ছিল না কোনো আশ্বাস,
ছিল না কোনো হাতের স্পর্শ,
শুধু ছিল এক শীতল বাতাস,
যা তাকে ক্রমাগত ঠেলে দিয়েছে
কিছু অজানা, অদৃশ্য জগতে,
যেখানে সে আর খুঁজে পায়নি কোনো আলো,
খুঁজে পায়নি কোনো শান্তি।
তার জীবনটা ছিল এক বদ্ধ কূপ,
যেখানে প্রতিটা দিন ছিল তার মৃত্যুর অপেক্ষা,
প্রতিটা রাত ছিল তার বেদনা ভরা,
তবুও সে চুপ ছিল,
তার নীরবতার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল তার চিৎকার,
তার না বলা কথাগুলো ছিল বিক্ষত আঘাত,
যা কেউ কোনোদিন শোনেনি,
কেউ কোনোদিন বুঝতে চায়নি।
শহরের রাস্তায় সে একা হেঁটে যেতো,
তার ছায়াও তাকে ছেড়ে চলে যেতো,
তবুও সে থামেনি,
সে জানতো, এ পথের শেষ নেই,
তবুও সে হেঁটেছে,
হেঁটেছে যতক্ষণ না তার পা থেকে রক্ত ঝরেছে,
যতক্ষণ না তার আত্মা বেঁকে গেছে সময়ের ভারে।
একদিন, সে থেমে গেল, তার নিঃশ্বাস বন্ধ হলো,
তার দেহ পড়ে রইলো এক কোনায়,
কেউ দেখলো না, কেউ জানলো না,
সে চলে গেল,
ধর্মের শহরে তার কোনো দাফন হলো না,
শুধু রয়ে গেল এক গল্প,
এক বেদনার কাহিনী,
যেখানে ন্যায়-অন্যায় গলে মিশে যায়,
রয়ে যায় না কোনো ফারাক।