এই নদী বড়ো তৃষ্ণার্ত—
পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে
ঝর্ণার সুরে ছলছল ধ্বনি তুলে।
তার জল, তার ঢেউ, তার গভীরতা—
সবই যেন এক অভিশপ্ত বাঁধনে বাঁধা।
চায় জোয়ার, চায় মুক্তির আকাশ,
চায় সাগরের বুকে মিশে যাওয়ার
অধিকার।

পাড়ে দাঁড়িয়ে বটগাছ,
ডালপালা মেলে ছায়া দেয়,
তবু তৃষ্ণা মেটে না এই নদীর।
পাখিরা আসে, পান করে জল,
সূর্যাস্তে ডানায় মেখে নেয় আলো।
তবু নদীর ভেতর জমে থাকে
অরণ্যের নীরব বিষণ্নতা,
যেন চাঁদের আলোতেও
অন্ধকারের ঘোমটা ঝুলে।

এই নদীর ধারে দাঁড়ালে মনে হয়—
আমরাও কি নদীর মতো নই?
বয়ে চলা, ছুটে চলা,
অতৃপ্তির ঘূর্ণিতে পথ খোঁজা।
জীবনের কূলে বাঁধা পড়ে থাকা,
তবু স্বপ্ন দেখা
এক অনন্ত সাগরের—
যেখানে বাঁধা পড়ার গল্প নেই।

রাত হলে নদী একা বসে,
তীরে জমে থাকা বালুকণার মাঝে
শুনশান নিস্তব্ধতায় খোঁজে তার সমাপ্তি।
কিন্তু তার গভীর ঢেউ জানে—
সমাপ্তি মানেই শেষ নয়,
আবারও এক নতুন শুরু।