কিছুটা সময় চেয়ে নিলাম রাত্রির কাছ থেকে।
চেয়েছিলাম কান্না মুছে,
একা দাঁড়াই চন্দনের গন্ধমাখা হাওয়ায়।
রাত্রি বলল, “এই রাত তোমার নয়,
নক্ষত্রেরা তোমার পথ চেনে না।”
তবু থামিনি আমি।
তোমার স্মৃতিগুলো মুছে দিতে চেয়েছিলাম
একান্ত হৃদয়ের গভীর থেকে।
পথের ধুলো মেখে হাঁটতে লাগলাম—
যেখানে নদী জলের সাথে মিশে গেছে পুরনো পত্রের গন্ধে।
আকাশ ভেঙে পড়েছে জোৎস্নার আলো,
নীল ভ্রমর গুঞ্জন তুলছে শূন্যে।
রাত্রি বলল, “ফিরে যাও,
তোমার জন্য প্রতীক্ষা নেই।”
তবু আমি চললাম,
পায়ে জড়িয়ে নিলাম রাত্রির নরম অন্ধকার।
গাছের পাতায় ঝরে পড়ল শিশির,
আমার হাত থমকে গেল তোমার নাম লিখতে গিয়ে।
জানি, এই জীবন অন্য কারো জন্য।
তবু পথের প্রতিটি ধূলিকণা আমার।
রাত্রি হেসে বলল, “ভুলে যাও,
তোমার স্মৃতির শিকড় মিশে গেছে অরণ্যের গভীরে।”
আমার পায়ে লেগে থাকে বেদনার ছায়া।
তবু চেয়েছি সময়—
ভাঙা স্বপ্নকে জুড়ে দিতে,
ফেলে আসা রাতকে ফিরে পেতে।
রাত্রি বলল, “অসম্ভব,
তোমার প্রতীক্ষার অন্ধকারে কোনো আলো নেই।”
তবু আমি থামিনি।
পাহাড়ের নিচে থেমে গেছে বাতাস,
জলের স্রোতে মিশে গেছে রাত্রির দীর্ঘশ্বাস।
আমি শুনি সেই সুর—
তোমার কণ্ঠস্বরের মতোই অপূর্ণ ও মলিন।
রাত্রি বলল, “তুমি একা,
তোমার কোনো অপেক্ষা নেই।”
তবু আমি থেমে থাকিনি।
জানি, এই পথের শেষ নেই,
তবু এই যাত্রা আমার।
রাত্রি চুপচাপ।
তার চোখে জমে আছে অনন্তকালের বিষণ্ণতা,
আমার চোখে জ্বলছে প্রতীক্ষার ক্ষীণ আলো।
কিছুটা সময় চেয়ে নিলাম রাত্রির কাছ থেকে।
অন্ধকারে ডুবে গিয়ে খুঁজলাম—
তোমার মুখ,
তোমার ছোঁয়া,
আর আমার একান্ত ভাঙা স্বপ্নগুলোকে।।