আকাশ জানে না, আমি কীভাবে জেগেছি
তার নক্ষত্রের চুপকথা শোনার ছলে।
অরণ্যের গহীনে হারানো বাতাসের ঢেউ
আমার মননে বাঁধছে নতুন এক ছন্দ।
ঝর্ণার জল নামে পাহাড়ের কোলে,
তবু তার সুরের ভাঁজে লুকিয়ে আছে
অচেনা শব্দের মেলবন্ধন,
যা কেউ শুনেনি কখনো, কেউ ছুঁতে পারেনি।
তুমি বুঝলে না—
আমার বুকে জন্ম নিচ্ছে এমন সুর,
যার কোনো আদি নেই, কোনো অন্ত নেই,
যেন কালো রাতে সাদা পাখির ডানা ঝাপটানো।
তোমার চোখে ধরা পড়েনি সে রং,
যা বৃষ্টির ফোঁটায় মিশে যায় প্রতিদিন।
অচেনা মেঘেদের আলিঙ্গনে,
আমার শব্দেরা একা গান গায়।
নদীর স্রোতের মতো অনন্ত পথের শেষে,
যেখানে স্বপ্নেরা হয় ম্লান,
তোমার হৃদয় তো জানে না—
আমার সৃষ্টির ধ্বনি কোন একান্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই কবিতা একান্ত আমার,
তোমার ছোঁয়া পায়নি আজও।
তোমার অপেক্ষায় পড়ে থাকা সেই শব্দগুলোই
আজ এই সুরে মিশে রয়ে গেল,
অজানা রঙের এক অনন্ত ছন্দে।
আমার সৃষ্টি, অনাবিষ্কৃত, অথচ তোমারই ছিল—এখনও রয়ে গেছে, যেমন ছিল।