এখনও সেই প্রহর, সেই অপেক্ষা।
রাতের আকাশে একা চাঁদ, বিন্দু বিন্দু আলোতে
তোমার মুখের রেখা কল্পনায় আঁকি বারবার।
তুমি তো সেই দূরের নীল নক্ষত্রের মতো,
অচেনা রূপ নিয়ে এসে, চলে যাও।
আমি কেবল দাঁড়িয়ে আছি,
নিঃশব্দের ভেতর থেকে—
তোমার ফিরে আসার পথ খুঁজছি।
কতদিন হলো? কত রাত পেরিয়ে গেল?
কোন হিসাব রাখি না আর, তবুও পেরোই।
এই পৃথিবী তার মতো চলছে,
আমি তোমার কথা ভেবে দাঁড়িয়ে আছি, নীরবতায়।
তোমার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে,
যেন নিঃশ্বাসে মিশে থাকা কোনো সুগন্ধি স্মৃতি।
সব কিছু এত ধরা ছোঁয়ার বাইরে,
তবু হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চাই সেই মুহূর্তগুলো।
তুমি কি জানো, এই শূন্যতার কতটা ওজন?
তোমার এক ফোঁটা কথা, একটুকরো হাসি
আমার বুকে জমে থাকা সব ক্লান্তি মুছে দিতে পারত।
কতবার ভেবেছি, একদিন হঠাৎ তুমি আসবে,
তোমার মুখে সেই চিরচেনা হাসি,
আমার সমস্ত অপেক্ষার জবাব হয়ে দাঁড়াবে।
এই আশার দিনগুলো ফুরোয় না,
ফুরোয় না রাত, ফুরোয় না প্রতীক্ষা।
তুমি ফিরে আসবে কিনা, আমি জানি না,
তবু এই প্রতীক্ষা আমার জীবনের একমাত্র সত্য।
সবকিছু ছাপিয়ে, আমি কেবল জানি,
তোমার পথের দিকে তাকিয়ে থাকাটাই আমার কাজ।
কখনও হয়তো মেঘ ভেঙে আলো আসবে,
তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াবে,
আমার ভেতরের সব শূন্যতা পূর্ণ করে দিয়ে যাবে।
আবার সব কোলাহল থেমে যাবে,
আমাদের চারপাশের সব শব্দ নীরব হয়ে যাবে।
তবু তুমিহীনতায়, এই প্রতীক্ষার শেষ কোথায়?
তোমাকে ভেবে ভেবে হৃদয় ভাঙে,
তবু থামে না এই দীর্ঘশ্বাসের ধারা।
তোমার ফিরে আসা কিংবা না আসা—
সব কিছু এখন শুধুই কল্পনার ফাঁদে বন্দি।
আমি তবু পথের দিকে তাকিয়ে আছি,
অন্ধকারের ভেতরেও তুমি এসে দাঁড়াবে,
এই আশাতেই জীবন কেটে যাচ্ছে।
তুমি কি শোনো? নাকি জানো?
তোমার না থাকাটাও আমাকে ভেঙ্গে চুরমার করে,
তবুও তোমার প্রতীক্ষায়,
এখনও সেই প্রহর, সেই অপেক্ষা।