“সুযোগ্য উত্তরসূরী”
     আরিফ আহসান
     তাং-২৫-০৭-১৯ইং

এখন আর রক্তচক্ষু-
কিম্বা সমস্ত শরীর থেকে রক্ত ঝরে গেলেও;
আর বরফের মত ঠাণ্ডা হয় না মনের গহিনঘর!
রক্তের বহতা শিখিয়েছে ভাসতে রক্তের নদীতে,
যদি পাশে থাকে ধৈর্য-
অটুট থাকে মুষ্টিবদ্ধ কিছু চোখ;
থেকেই-বা কি লাভ?
অথচ যুগের বিবর্তনে দেখলাম পাল্টেছে তোমার রূপ!

আশ্চর্য হইনি-
তুমিই তো যোগ্য উত্তরসূরী বর্বর জংলী জাতির।
জংলীর সে শিঙার সুর-
আর নগ্ন ঐ দেহের ভাঁজে ভাঁজে;
তোমাকেই খুঁজে পাই!
দেখি নষ্ট অতীত সম্মুখে আজ!
আচমকা মনে হলো-
বর্তমান অতীত ও ভবিষ্যৎ মিলেমিশে একাকারে তোমার অহং !
এইসব উৎসবের আমেজে-
পরিবর্তন কে যেনো কেমন অচেনা লাগে,
এটাই তোমার বুঝি ভালোবাসা;
মায়ের মুখের ভাষা আর একগুচ্ছ মিছে আশা!

সিঁদুর রঙের মেঘ দেখলেই ভয় হয় জানো,
বলতেই পারো অভাবে স্বভাব নষ্ট-
দৃষ্টির অদূরে দুঃসাহসিক অভিযানে ডুবে যায় যখন জাহাজ;
পরিহাস করি শুধু ভাগ্যের,
না হলো না আজও-
চোখে চোখ রেখে শুভদৃষ্টি বিনিময়!
তুমিই তো এখন আমার নষ্ট পাতায় মোড়ানো,
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে চাওয়া পাওয়া;
একটুকরো ইতিহাসের সুযোগ্য উত্তরসূরী।

    ঢাকা,বাংলাদেশ।