“চঞ্চলতা অরণ্যের জঠরে”
    আরিফ আহসান
    তাং-১৯-০৭-১৯ইং

চঞ্চলতার মৃত্যু হয়ে গেছে ধু-ধু মরুপ্রান্তরে,
ভিজিয়েছিলো তাকে নোংড়া বালুকণারা;
কিন্তু কণ্ঠনালীর চঞ্চলতা তার আর ফিরে আসেনি।
বলেনি একটু জল দেবে আমায়-
অথচ মিঠা-পানির নদ-নদী খাল-বিল ছিলো সারি-সারি!

নোনাপানির বিষাক্ত কাঁকড়ার আঁচড়ে-
ক্ষত-বিক্ষত চঞ্চলতার শরীরে বয়ে যায় জলোচ্ছ্বাস,
অবিরাম ফিনকি দিয়ে ওঠে রক্ত;
আকাশচুম্বি অট্টালিকার-
সৌন্দর্য মণ্ডিত জলসাঘরের অন্দরমহলে!

নটরাজ বহাল তবিয়তে-
তখনও নেশার উন্মাদনায়,
কানন অঙ্গনে ঝরা গোলাপের পাপড়ির আহাজারি,
উদাস আকাশ বাতাস কানাঘুষা করে যায় চুপিসারে,
উচ্চারণ করতে পারে না স্ব-শব্দে-
যদি জলে ভেসে পচন ধরে কানন অঙ্গনে!

চঞ্চলতা আর আসবে না কোনদিন-
আর যদিও বা কোনদিন আসে,
ফিরবে না সে মনুষ্য সমাজে ইট পথরের জঠরে;
বলবেই সে মানবেরে চঞ্চলতা তোমাদের জঠরে মানায় না,
চঞ্চলতা থাকনা বন্য হরিণের চঞ্চলতায় অরণ্যের জঠরে।
==============
     ঢাকা,বাংলাদেশ।