(১) দেশের মাটি

খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি
এ যে আমার দেশের মাটি।
এমন সোনা কোথায় পাবে?
এ যে হীরা-রূপার আঁটি।
সব পাটিতেই ক্লান্তি আসে
এ মাটিতে সোনা বাটি।

(২) সবচেয়ে সুন্দর

অনেক কথার কথা তুমি
অনেক গানের গান।
অনেক ছবির ছবি তুমি
অনেক প্রাণের প্রাণ।

আমি কি দিয়ে লিখি?
আমাকে মন্তেগ্রাপ্পা তিবালদি ফুলনগর নকটারনাস এনে দাও - লিখি।

(৩) কংকাবতী

ঐ ফুল ফুটোনা

ঐ চাঁদ উঠোনা

ঐ রাত হেসোনা।



    আমি শুধু তাকেই দেখি।

   সে আমার বনলতাসেন।


তাকে পেয়ে মনে হয় পৃথ্বি-নগর হাসল।

তাকে পেয়ে মনে হয় কবি রবীন্দ্র ঠাকুরও হাসল।

(৪) সে জনাকে

তুমি ঢাকাই শাড়ি  পরতো; দেখি কেমন লাগে।
তুমি ঢাকেশ্বরীর প্রতীমা।

তোমাকে নিয়ে কত গান লিখেছি।

তোমাকে দেখে একটি শিশু হাঁচতে গিয়েছিল,
  একটি নারী বলে অনেক কাজ করেছি একটু হাত ধুয়ে আসি,
একটি ফুল তার গন্ধ ছেড়ে দিয়ে বলে আমি আমার জীবন ফিরে পেলাম।

নদীতে ঢেউ জাগে, সাগরে দোল দোলে; আমি শুধু তোমার কথা কই।

তুমি আজ আসলে, যেন ৭ম আশ্চর্যের আসল আশ্চর্য ফিরে পেলাম।

হিমালয়ের শৃঙ্গে বসে বসে যে পাখি গান গায় সেও তোমার কথা বলে, আকাশ প্রদীপ জ্বেলে তোমাকে দেখে, চাঁদ তার মনের কথা তোমাকে শোনায়।

আমি বলি না,না সে আমার আজিম প্রিয়া।
তাকে দেখে দেখে আমি নবনীতা নীনার গান গাই।

শুক্রবারে পারস্যের চিঠি আসে সে চিঠিতে তার নাম লেখা।

(৫) তোমাকে....

তুমি পৃথিবীর আলো।
তোমাকে দেখে মনে হয় পৃথিবীতে একটি নতুন ফুল ফুটেছে।

তুমি বসন্তের রানী, গগনের বাণী
নব পল্লবের ধানী।

তোমাকে দেখে মনে হয়, জীবনানন্দ বনলতাকে খুঁজতে পারেনি।
তোমাকে দেখে ভিঞ্চি ( মোনালিসাকে দেখার) আগের রাতে একটি  ছবি আঁকার স্বপ্ন দেখেছিল।


তোমাকে পেয়ে আমি একটি নতুন জগতে প্রবেশ করলাম।সে জগতে একটি ফুলের বাগান আছে।সে বাগানে আমি কতক্ষণ থাকব তা আমাকে তেড়ে বেড়ায়।