গরবিনী মা, সুহাসিনী মা
অলকে তোমার কত সুখ স্বপ্ন
কত আনন্দ আর হাসি কান্নাকে পিছনে ফেলে
উতসর্গ করলে সন্তানেরে স্বর্গের উপমা।
নিজে আধ পেটা কখনো বা না খেয়ে
বাছা যেন কষ্ট না পায় সেই দিকে চেয়ে
এনে দাও দেহ নিংড়ানো অমৃত সুখ সুধা
পাহাড় সম কষ্ট রাশি যতই আসুক ধেয়ে।
পিঁপড়েরা হেঁটে গেলে ধাক্কা লাগে মনে
এই বুঝি কামড়ে দিল ব্যথা পায় যদি
বুক বেয়ে চোখের জল হয়ে যায় নদি
অজানা আশঙ্কা জাগে নিভৃতে নির্জনে।
কত স্বপ্ন কত ত্যাগ কত চোখের জল
একা হাতে সব কিছু আগলে অনর্গল
না পাওয়ার যন্ত্রণা কত ভরে নীল আঁচল
সাগর সেঁচা মুক্তা টুকু দাও অবিরল।
এমনি করে নিজের ত্যাগে হও মহীয়ান
সন্তান বড় হয় সমাজের একজন হয়
গণ্ডি কেটে সিঁড়ি বেয়ে নিজের স্থান লয়
আপন মহিমায় মাগো হয়ে যাও মহান।