'অ' তে অজগর, - অজগর ঐ আসছে তেড়ে,
'আ' তে আম, - আমটি আমি খাবো পেড়ে।
'ই' তে ইঁদুর, - ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে,
'ঈ' তে ঈগল, - ঈগল যদি ছোঁ মারে।--
এ টাইপের ছড়া আমরা ছেলেবেলায় অনেক পড়েছি। বলতে গেলে এ ছড়া গুলো দিয়েই আমাদের অক্ষর জ্ঞান শুরু এবং লেখা-পড়ায় হাতে-খড়ি।
শুধু যে আমরা পড়েছি, তাই নয়; এখনকার বাচ্চারাও এভাবেই ছড়ায় ছড়ায় হাতে - খড়ি নেয়। লেখাপড়ার সাথে তাদের একটা যোগ-সূত্র তৈরী হয়।
ছাত্রাবস্থায় দেখেছি, যে কোন কঠিন পড়া মুখস্থ না হলে ছন্দ আকারে পড়লে সে গুলো বেশ তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়।
এভাবেই ছড়া- কবিতার সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে ছেলেবেলাতেই। তারপর এক সময় আমাদের ছাত্রত্ব ঘুচে যায়, প্রবেশ করি কর্মজীবনে।
কিন্তু এখানেও রয়ে যায় তার ছেলে বেলাকার রেশ। কেউ একে জীবনের সাথে জড়িয়ে নেই,( যাদের আর কিছুই হয় না কবিতা ছাড়া) কেউবা বাস্তবতার কঠিন কঙ্করে আবৃত করি নিজেকে।