কাপড় যেমন পাল্টে পরিধান যোগ্য
ধর্ম তেমনই পাল্টে গ্রহন সম্ভব
এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরে
কোন পরিবর্তন হয় না।
সেজন্য ডাক্তারবাবুগণ সহজেই
হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, জৈন, পারসিক
সকল রোগীকেই সুস্থ করতে পারেন।
ধর্ম তো গায়ের জামা মাত্র
আসলে সকলেই আমরা একিই মানবাত্মা।
প্রত্যেক ধর্মে ইষ্ট থাকেন যিনি
দেশ, কাল, ভেদে তাঁর মৌখিক বাণী
এক ও অভিন্ন জানি।
তিনি স্থিতিপ্রঞ্জ, প্রকৃত তত্বঞ্জানী।
তিনি মহান, তিনি উৎকৃষ্ট
তিনি উদার, তিনি শ্রেষ্ঠ ।
সর্বজীবে সমদৃষ্টিভাবাপন্ন
কেবল স্থান, কাল ভেদে অনুগামী ভিন্ন
আজও কোন, কোন সমাজে
নারী থাকে দাসীর সাজে
সন্তান উৎপাদক নিছক মেশিন
ধর্ম চর্চা করলেও রুদ্ধদ্বার ধর্মস্থান
সভ্য জগতের উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি
না লাগে, সেজন্য কখনোবা কাপড়বর্মে গুপ্ত রাণী ।
পুরুষ সেবাই তাঁর সৃষ্টির কারণ
সিংহদ্বারের বাহিরে অনধিকার গমন
সে কূপমন্ডুক মাত্র, বর্হি:জগতে বিষ্মরণ
নারী জননাঙ্গ থেকে জাতীর জন্ম হয়,
তাহলে আজও কেন .............
সে বদ্ধঘরের অন্ধকারে মুখ বুজে থাকে ?
কেন সে পিতৃ-পরিচয় হতে বঞ্চিত ?
কেন সে নিজ পরিচয়ে বড় হলে সমাজচ্যুত?
কেন তার জন্য অজস্র নিষেধের বেড়া ?
কেন এভাবে ধর্মকে অবমাননা করা ?
ধর্মে সত্যের বাধন কি এতটাই শিথিল
যে, নারীর উন্নতির উপর ধর্মের গুরুত্ব নির্ভরশিল ??