দাদা, তোমায় চিঠি লিখবার দুঃসাহস
হয়নি কখনো ,বা কোন অভিযোগ করবার শক্তি।
ভুলের পর ভুল করে যাবার পরেও
অনুযোগ করবার স্পর্ধা ।
আজ আর সেসবের ভয় নেই,
হৃদয়য়ের মাঝে জমা ক্ষোভগুলো তুলে ধরবার ।


তোমার মনে আছে সেই দিনগুলির কথা?
ছোট্ট বোনটার সাথে কানামাছি খেলা,
অথবা মায়ের কাছে নতুন খেলনা কেনার বায়না?
চিরদিনই তুমি বড় একরোখা ,
বিত্তের গণ্ডিটায় আটকে থাকতে
চাওনি কখনই।
বাবার কথা মনে পড়ে, মানুষটা শুধুই দিয়েই গেছে
চায়নি কখনো কোন কিছুই।
মানুষটাকে কাঁদতে দেখনি, ঘামে ভিজে জেতে দেখেছ বারংবার ।
দুরন্ত শৈশব পেরিয়ে যখন তুমি তরুণ যুবক,
রেণুকা বৌদির সাথে প্রথম আলাপ---
বৌদির কুড়িতম জন্মদিনে তোমার দেয়া
ডায়মন্ডের নোজপিন --- বাবার পকেট কেটেই
তো দিয়েছিলে, মনে পড়ে----
অসহায় সেই মানুষটার মুখ?
মস্ত বড় অট্টালিকার সামনে দিয়ে
আজ যখন আসছিলাম,ভিতরটায়
বড্ড গর্ব হচ্ছিল , কত সুখে আছে আমার দাদা,
বড়বাড়ির মেয়ের একমাত্র জামাই।


কেমন আছে রুনু- ঝুনু?
অনেক বড় হয়ে গেছে বুঝি?
তোমার চেয়েও বড়?


দাদা , বৌদিকে সেই যে দেখেছিলাম
বছর পাঁচেক আগে, আর তো দেখিনি, আসনি তো কখনো?
বৃদ্ধ বাবা-মা আর আইবুড়ো বোনটার
কথা একেবারেই ভুলে গেছো ?
বিত্তের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আমার উচ্চবিত্ত দাদা_____ ।


তোমায় বিদেশ পাঠাতে গিয়ে
বাড়িটাও মর্টগেজ দিতে হল, ছাড়ানো আর গেল না।
তোমার অট্টালিকায় আমাদেরও ঠাই মেলে নি।
কি কষ্টে  ছিলাম সেদিন জানো?  
তোমার কোন দোষ নেই
সবটাই হয়ত ভাগ্যের পরিহাস
বুড়ো বাবা- মা আর সেদিনের ছোট্ট বোনটার ।
ভাল থেকো , দাদা ___      
       অনেক ভালো থেকো ...   ...   ...।।