শহুরে দিনকাল
জহিরুল ইসলাম


মস্তিষ্কে রাজ্যের ভাবনা নিয়ে জেগে থাকি এই নির্জন রাতে,
কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি এসো নতুন কোন  প্রভাতে।


ঘুম চোখে তাকিয়ে থাকি পুরোনো পাণ্ডুলিপির খুঁজে,
তোমার ভাবনায় একটু একটু করে নিদ্ নামে চোখ বুজে।


এই শহর ঘিরে বেঁচে আছে কত প্রাণ জেগে ওঠে নতুন দিনে,
আমি এক ভবঘুরে জীবন করছি যাপন কেটে যায় প্রহর তুমি বিনে।


ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে যায় ছদ্মবেশী নারী,
এসব ভেবে ভেবে কবিতা লিখে যাই দিয়ে অযথা আহাজারি।


এসব দু পয়সার কবিতায় খিদে মিটে না হয় অভাব দুর,
তবুও বোকা মন অকারণে লিখে যাই পুরানো গানের সুর।


শহুরে নিয়ন আলোয় আকাশ দেখে পার হয়ে যায় এক বিষন্ন রাত,
যন্ত্রণার পেয়ালা হাতে নিয়ে একটু একটু করে ঘুমের ঘোরে হই কাত।


এক কাপ চা আর সিগারেটে খুঁজে পায় সুখ এক বেকার যুবক,
মেকি হাসির আড়ালে চলে অবিরাম আড্ডাবাজি বকবক।


কৌশলে যাপিত জীবন হঠাৎ আটকে যায় অচেনা এক ট্রাফিকে,
খুঁজে খুঁজে হয়রান কোথা যাবে সে মুক্তির পথ কোন দিকে।


ঘামে ভিজে একাকার বৃদ্ধ বয়সে টেনে নেয় জীবন একা,
এসব খবর ছাপা হয় না পাতায় সময় নেই কেউ কাউকে দেখা।


দামি গাড়ির বহর ঘুরছে সমস্ত শহর খুশিতে সাহেব আত্নহারা,
কাঁধে ব্যাগ গুজে ছুটছে মধ্যবিত্ত মাস ফুরালে দিতে হবে বাড়ি ভাড়া।


বেকার তরুণ ছুটে যায় দ্বারে দ্বারে পেতে একটা জব,
এই শহরে বাঁচতে হলে জানতে হবে টাকাই জীবনের সব।


জীবিকার তাগিদে মানুষ গুলো ছুটে চলে এই আজব শহরে,
বেচে থাকার সংগ্রাম করতে করতে হঠাৎ মানুষ মরে।