প্রত্যাখানের মোড়কে জীবনের প্রচ্ছদ
জহিরুল ইসলাম


চৌকাঠের ওপাশ হতে শুনতে পাই অবহেলা ডাকছে আমায়,
আমি বারবার ছুটে চলে যাই চৌকাঠ পেরিয়ে;
বেলা শেষে যখন ফিরে আসি ক্লান্ত ঘুঘুর মতো-
আমায় দেখে পৈশাচিক আনন্দে ফেটে পড়ে এক দল হায়না,
চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে আয়নায়।


তবুও এক মেকি হাঁসির বায়নায় বেঁচে থাকি আজকাল,
তোমাদের এই অবহেলা, প্রত্যাখান আমায় নতুনত্ব দেয়।
বাঁচতে শিখায় কঠিন পাললিক শিলার মতো অনুভূতি শূন্য হয়ে,
আমি বেঁচে থাকি সভ্যতার পরিচয় গায়ে মেখে;
শতাব্দীর সবচেয়ে ঘৃণিত প্রাণীর মতো আমার জীবনকাল।


তোমরা বরং বেঁচে থাকো জমকালো জীবন নিয়ে,
কেটে যাক গুটি কয়েক দিন বছর অথবা যাবজ্জীবন।
আমি এই নির্বাক শব্দহীন মরুর বুকে চাষ করে যাবো,
তাবৎ অনুভূতি আর জীবনের আস্তরণে লুকিয়ে থাকা কষ্ট সব;
ভালো থেকো ভালো থাকা হোক এই আনকোড়া  জীবন নিয়ে।


তোমাদের এই গোলক ধাঁধার পৃথিবীতে আমি না হয় এক টুকরো দূর্বাঘাস হয়ে বেঁচে থাকি,
মিথ্যে অহম ঘৃণা আর বুলেটের মতো তীক্ষ্ণ বাক্যবাণে জর্জরিত এই সময়কাল।


আবার হয়তো উপ্ত রবির আলোয় উদ্ভাসিত হবো নতুন কোন এক শিশির ভেজা ভোরে,
চারদিকে প্রশংসার শিশির দানায় সিক্ত হবে সেদিনের সেই সময়।


আজ না হয় অবহেলা আর প্রত্যাখানের প্রচ্ছদে ঢেকে যাক এই জীবন,
এই কাব্য জীবন্ত থাক সময়ের টাইমলাইনের কোন এক পরিত্যক্ত পাতায়।