স্মৃতিকথা
জহিরুল ইসলাম


জানো তরুলতা আজকাল ভীষণ স্বার্থপর ভাবে বেঁচে থাকার ভান করি,
ভীষণ ব্যস্ত সময় পার হয় আমার তোমাকে মনে পড়ে না খুব একটা।
সকালে দেরি করে ঘুম চোখে ক্লাস, ছোটাছুটি আর ক্লান্ত হয়ে ফেরা,
অতঃপর দুপুরে ভাতঘুম,বিকেলে খেলার মাঠে মেতে থাকা।


সন্ধ্যে নামলে বইপড়া আড্ডাবাজী এসবে কখন যে কেটে যায় সময়,
টেরই পাইনা আজকাল, কিন্তু রাত যখন গভীর থেকে গভীরতর হয়।


ঠিক তখন বুকের ভেতর কেমন জানি শূন্য শূন্য অনুভব হয়,
টের পাই ঢের নিজেকে সামলে নিই আবেগ বলে হেসে দেই।
খুব বেশি মনে পড়লে কয়েক লাইন কবিতা লিখি এইতো,
এরচেয়ে খুব বেশি করা ও সম্ভব নয় তোমার জন্য।


এখন আর তোমায় নিয়ে খুব একটা লিখি না কবিতা,
এখন কেবল চারপাশের মুখোশ নিয়েই লেখা হয় অধিক।
এখন আর ইচ্ছে করে না তোমার পাশাপাশি হাঁটতে,
চোখ চোখ রেখে ভালোবাসাবাসি বলতে ও ইচ্ছে হয় না।


এখন কেবল বেঁচে থাকতেই ইচ্ছে হয় বেঁচে থাকাই যেন আনন্দের!
তবুও দিন শেষে পথিকের পদচিহ্নের মতো তোমার স্পর্শের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে চোখে।