কবিতার ইতিকথা
জহিরুল ইসলাম


কপাট বন্ধ রেখে যেকটা শব্দ লিখি নিরিবিলি,
সেসব আমার মগজের লাইব্রেরীর গুটিকয়েক কবিতা মাত্র।
অনেক ভেবে দেখেছি কবি হতে গেলে আজকাল;
কলম কালি কাগজ কিংবা ছাপাখানা লাগে না।
পিজঢালা পথে একাকি হাঁটতে হাঁটতে ভাবা যায় অগণিত কবিতা সম্ভার,
শব্দের পাহাড় জমে কবিতা গড়িয়ে পড়ে মানসপটে ঝর্ণা ধারার মতো।


রাজপথের মিছিলে কিংবা কোন রাজনৈতিক জরুরি সভায়;
গুপ্তচরের মতো লুকিয়ে থাকে কবিতা কবির মাথায়।
সময়ের দেয়ালে সেঁটে থাকে কতশত অক্ষরমালা,
সহস্র অনুভূতি মিশে থাকে বাস্তবতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে;
প্রেমিকার যুগল চোখে কিংবা এলোমেলো চুলে
বাস করে গোপন কবিতার অক্ষর আর শব্দাবলি।


সালাত রত নামাজির হৃদয়ে লালিত খোদার অসীম ভক্তি,
অথবা পাপের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া তীরভ্রষ্ট নাবিক।
সমস্ত কিছুতেই লুকিয়ে থাকে কবিতা,অক্ষর, আর অনুভূতি,
কবিগণ কেবলমাত্র অনুধাবনেই লিখেন কালজয়ী কবিতা সমগ্র।


কবিতা বোবা কান্নার প্রতিধ্বনি ঘুমন্ত শিশুর মায়াময় প্রতিরূপ,
কবিতা দীর্ঘ সময়ের সামান্যতম সারমর্ম নাতি দীর্ঘ জীবনের সারাংশ।
ক্ষোভে ফেটে পড়া হৃদয়ের গহীনে জমাট বাঁধা বিদ্রোহের ব্যক্ত শব্দাবলি,
কবিতা সময়ানুভুতির বয়ান কবির চোখে ভেসে ওঠা বাস্তবতার তরজমা।