অন্ধ প্রেমিকা
জহিরুল ইসলাম


মেয়েটি আমায় চুপিচুপি ভালোবাসতো প্রকাশ করে নি কখনো,
মন খারাপের দিনে নীল রঙের বেনারসী আর একগুচ্ছ কাঁচের চুড়ি।
এসব জড়িয়ে খুব সাদামাটা সাজে সজ্জিত হতো সে,
রাতের গভীরে যখন আমি ঘুমিয়ে যেতাম গভীর ঘুমে
মেয়েটি তখন রাত জেগে জেগে ডায়রীর পাতায় কাব্য লিখতো।


আমি কখনো না কখনো পড়বো এই ছিল তার অন্ধবিশ্বাস।
মানুষ ভালোবাসলে হয়তো অন্ধ হয়ে যায় চোখ থাকতেও অন্ধ!
মেয়েটি ও অন্ধের মতো ভালোবাসতো বুঝি নি কখনো;
অযুত দীর্ঘশ্বাস বুকে আগলে রেখে অপেক্ষায় থাকতো সে
এসব পাগলামি করায় মায়ের বকুনি খেয়েছে নাকি বেশ কয়েকবার।


দমে যায় নি মেয়েটি আমার তীব্র অবহেলার পরিবর্তে ভালোবাসতো দ্বিগুণ,
একদিন হঠাৎ বুকের ভেতর চাপা কান্নাদের বিদ্রোহ শুরু হলো।
হৃদকম্পন বেড়ে যায় হঠাৎ চারপাশ অন্ধ কালো হয়ে যায়
থেমে যায় হৃদকম্পন থেমে যায় জমাট দীর্ঘশ্বাস,
এরপর থেকে আর কখনো দেখিনি মেয়েটিকে আর
বসে থাকতে বেলকনিতে নীল বেনারসী শাড়ি আর চুড়িতে!
এখন মাঝে মাঝে পথ ঘেঁষে চলতেই দেখি তারে বকুল তলায়,
সেই আগের মতোই অপেক্ষারত বসে আছে সবুজ বিছানায়