মাঝে মাঝে নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হয়
গ্রাস করে পৃথিবীর সকল নিঃসঙ্গতা আমাকে
একেবারে ছিড়ে ছিড়ে খায় ইচ্ছে মতো
নিজেকে তখন অনেক বেশি একা মনে হয়
আমার দেহ মন জুড়ে খেলতে থাকে নিঃসঙ্গতা
বড্ড বেশি অসহায় মনে হয় আমাকে তখন
চারপাশে খুঁজতে থাকি কে আছে আপন আমার


খুঁজতে খুঁজতে আরো বেশি একাকিত্ব
পেয়ে বসে আমাকে
একাকিত্বের এ খেলায় হেরে যাই আমি
কেড়ে নেয় আমার সকল শান্তি ও সুখ
একটু আপনজনের সান্নিধ্যের সান্ত্বনা খুঁজে ফিরি
বারবার
কাউকে পাইনা খুঁজে আপন এ ধরায়


কে আছে আপন আমার এই পৃথিবীতে
নেই কেউ নেই একেবারে নেই কেউ আমার
নিজের ছেলেমেয়ে তারা তো তাদের মা-কে ই
বেশি ভালোবাসে
মা-ই তাদের বেশী আপন
বাবা তো মায়ের মতো নয়
তুলনামূলক ভাবে তা-ই
আর হবে ই বা না কেনো?


মা যে তাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্ট করেছে দিনের
পর দিন
জঠরে ধারণ করেছে তার লাথি ঘুষি খেয়েছে
পৃথিবীর আলো দর্শনের পর থেকে হাজারো রকম
অত্যাচার জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করেছে
মা-এর সাথে তাদের যে নাড়ির নিবিড় সান্নিধ্য
বাবার সাথে তো এমনটা নেই


সংসারের খুটিনাটি বিষয়ের পরীক্ষায় দেখা গ্যাছে
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেমেয়ে তার মায়ের পক্ষই
নিয়েছে
তখন নিজেকে পৃথিবীর সব চেয়ে একজন একাকী
ও অসহায় মানুষ মনে হয়
ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় আমার মন আর হৃদয়
নিঃসঙ্গতা তখন আমাকে ঘিরে ধরে অক্টোপাসের
মতো


আকাশের দিকে তাকিয়ে তখন আকাশ কে খুব আপন
মনে হয়
রাতের আকাশে জ্বলতে থাকা তারাকে খুব আপন
মনে হয়
নদীর বুকে স্নানরতা যুবতী কে তখন বেশি আপন
মনে হয়
বিলের বুকে বাঁশের কঞ্চিতে মাছ শিকারের অপেক্ষায়
বসে থাকা মাছরাঙা পাখি কে তখন বেশি আপন মনে হয়
ঘরের ভিতরে ফুরুত ফুরুত করে উড়তে থাকা চড়ুই
পাখিকে
আর ভরদুপুরে গাছের ডালে ঝুমুরঝুমুর তালে গেয়ে
ওঠা ঘুঘু পাখি কে তখন বেশি আপন মনে হয়


আসলে কি সত্যি ই তারা আপন?
না-কি নিজের ছেলেমেয়ে?
পৃথিবীতে আসলে আপন বলে যদি কেউ থাকে
সে কে?
সে আমাদের মা।