"""''''''''
    পকেটটা ফাঁকা
জাহিদ হোসেন রনজু।
--------------------------------®


বাসা থেকে বের হই
ফিটফাট হয়ে,
যাবো এক দাওয়াতে
বন্ধুর বিয়ে।
সব বাসে ভিড় দেখে
খেই হারিয়ে,
ভাবি আজ যাই তবে
ট্যাক্সি নিয়ে।
খুঁজে খুঁজে ট্যাক্সির
পাই যেই দেখা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা ফাঁকা।


মাংসের দোকানের
যাই পাশ দিয়ে,
মনে হয় কেজি দুই
যাই বাড়ি নিয়ে।
সকলেই চায় রোজ
মাংস যে খেতে,
এই ভেবে পা বাড়াই
মাংসটা নিতে।
যখনই দাম শুনি
কেজি ছ'শ টাকা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা  ফাঁকা।


বাজারেতে যেয়ে দেখি
বড় বড় মাছ,
গায়ে ভরা চকচকে
স্বর্ণালী আঁশ।
দেখে বড় লোভ হয়
ভাবি মনে মনে,
গোটা দুই বড় মাছ
নেই আজ কিনে।
দরাদরি করে যেই
দাম করি পাকা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা ফাঁকা।


দোকানেতে রাশি রাশি
টসটসে ফল,
মনে হয় কিনে নেই
খেয়ে পাই বল।
হেঁটে হেঁটে যাই আমি
দোকানের কাছে,
দোকানিও খুশি মনে
এগিয়ে যে আসে।
হাতে নিয়ে শুনি যেই
কেজি শত টাকা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা ফাঁকা।


কাঁচে ঢাকা বড় বড়
'এসি' করা ঘরে,
সুন্দর জামা সব
রাখা থরে থরে।
মনে হয় কিনি যেয়ে
তার এক-দুটি,
কিনতেও যাই সেথা
হেঁটে গুটিগুটি।
দেখি যখন টানানো
'এক দর' লেখা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা ফাঁকা।


আহা কি যে সুন্দর
উচু উচু ফ্লাট,
কত তার যে বাহারি
কত ফিটফাট।
কিনবো তার একটা
মনে নিয়ে আশা,
খুঁজে খুঁজে বের করি
মালিকের বাসা।
বলে যেই 'স্কয়ার'
ছ'হাজার টাকা,
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা ফাঁকা।


ফুটফুটে, টুকটুকে
দেখে সুন্দরী,
মন মাঝে ভালবাসা
দেয় সুড়সুড়ি।
ধীরে ধীরে ভাব করে
বলি -'ভালবাসি',
মনকাড়া হাসি দেয়
প্রিয় উর্বশী।
'কথা হবে এসো কাল
চাইনিজে একা,'
তখনই মনে পড়ে
পকেটটা  ফাঁকা।
----------------------------------
৪ জুলাই, ২০১৭, ঢাকা।