বৃষ্টির মিষ্টি পানিতে যখন আমরা খালি পায়ে হাটতাম,
কখনো বা তোমার পায়ে কোন কাটা বা শামুক কুচি বিধে যেতো
তোমার ঐ মুখের হাসি মুছে গিয়ে দঃখের ছোয়া জেগে উঠতো
তখন আমার পৃথিবীটা কেঁপে উঠতো।
কাটা খুলে ফেলার পর হয়তো পায়ে রক্তক্ষরন হত,
কিন্তু তুমি হয়তো জানোনা তোমার ঐ ঘাঁ না শুকানো পযর্ন্ত
আমার বুকের মধ্যে রক্তক্ষরন হতো।


কখনো কখনো জ্বরে যখন তুমি বেহুশ হয়ে পড়তে,
তখন তোমার ঐ উজ্জল মুখের মলিনতা
আমাকে অস্থির করে তুলতো,
আমি তোমাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে রাখতাম
যেন তোমার গায়ের সব তাপ আামার মধ্যে চলে আসে।
আর বিধাতার কাছে মনে মনে প্রাথর্না করতাম
যেন তোমার পরিবর্তে আমাক কষ্ট দেন।


সুখের মূহুর্ত গুলো কখন ফুরিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি,
একদিন হঠাৎ জানতে পারলাম তুমি আর আমার নেই,
কখন যে তুমি অন্যের হয়ে গেছো বুঝতে দাওনি,
তোমার চলে যাওয়া, আমার পৃথিবীতে আমার একা হয়ে যাওয়া,
নিজের কাছে নিজের হেরে যাওয়া, আজও সামলে উঠতে পারিনি।
জীবনের এই গোধুলি লগ্নে স্মৃতির পাতায় অন্যরা বিলিন, তুমি চিরস্থায়ী।


যে ভালোবাসা অন্যের বাহুডোরে তোমায় টেনে নিয়ে গেছে,
সে বন্ধন তোমার চিরকালীন হোক,
যার আালিঙ্গনে তোমার ঐ মুখ খুশিতে ভরে ওঠে,
যার ছোয়ায় শিহরিত আর উদ্ভাসিত হও,
তাকে আমার মত ফাঁকি দিও না,
যাবার সময় হলে বলে যেও,
যাবে কেন, চিরদিন থেকো তার কাছে,
মনে রেখ তুমি তার পৃথিবী,
তাকে তোমার পৃথিবী বানিয়ে নিও।


আজেও বৃষ্টি হয়, তোমার গাঁয়ে জ্বরও হয়তো আসে,
শুধু তুমি আর আমি একসাথে নেই
পৃথিবী চলছে পৃথিবীর নিয়মে,
জীবন বৃদ্ধ হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে,
স্মৃতিরা বদলায়নি, ওরা আছে আমার সাথে তোমায় নিয়ে,
সুখে থেকো জীবনের প্রতি প্রান্তে।