আমার যৌবন ভিতরের শক্তি
মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চায়
দেশ ও দশের কল্যানে আসতে চায়
কোন এক রূপসীকে ভালবাসতে চায়
কিন্তু পারিনা,বাস্তবে তা হয়ে উঠেনা।
কে যেন পিছু ডাকে
কে যেন ইশায়ায় পথ আগলায়
উপরের আমিটা ছটফট করে
ভিতরের আমিটা লজ্জাবতীর মত কোকড়ে থাকে।
কৈশোরে মা বলতো,দুষ্টুমী করোনা বাবা
অন্যায় করোনা,অসৎ সঙ্গে মিশোনা
লেখা পড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হও
তার কথা শুনেছি,অন্যায় অসৎ থেকে দুরেও থেকেছি
তারপরও মানুষ হতে পারিনি,হয়েছি যন্ত্র চালিত রোবট
যার চাওয়া-পাওয়া আশা আকাঙ্খা অন্যের ইচ্ছায়
চোখের সামনেই কত নারীকে স্শ্রীলতা হানি হতে দেখেছি
দেখেছি মানুষের প্রতি মানুষের নির্মমতা
এমনকি অসভ্যতার শেষ সীমা।
কিছুই করতে পারিনি,কিছুই বলতে পারিনি
মানুষ হয়েছি,পুরুষ হয়ে উঠতে পারিনি বলে
পথের বাঁকে,নদীর ঘাটে অথবা কোন নির্জনে
সুযোগ পেলেই সীমা বলতো তোমাকে ভালবাসি
আমারও ভাল লাগে তবে বলতে পারিনি সাহস হয়নি
পাছে লেজে পরিবার তথা সমাজের আগুন লাগে
আজও সীমাকে ভালবাসি,কিন্তু এতদিনে
সীমা বুঝে গেছে আমি পুরুষ নয় কালপুরুষ।
যার সামনের চেয়ে পিছনেই বেশি ভয়
তার জন্য হীরা নয় কাঁচের র্স্বগেই বসত হয়।
মা আজ বেচেঁ নেই,থাকলে আমায় দেখে তার
ভুল ভাঙ্গতো, বলতো বেচেঁ থাকার জন্য শুধু
মানুষ হলেই হয়না,কখনো কখনো নিজের ভিতর
ঘুমন্ত দানবটাকে জাগিয়ে তুলতে হয়;
মানুষ রূপী দানব গুলিকে শায়েস্তা করার জন্য।