রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থেকে
কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম!
ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ট্রেনটাই চলে গেছে।
যতটা না হতাশ হলাম
তার চেয়ে কষ্টটায় আঘাত করলো বেশী।
এজন্য যে,
টিকিটের মূল্যটা ফেরত পাবো না বলে!
জীবণ এখন বড্ড বেরশিক,
কোন কাজেই সমান্তরাল হয় না,
খালি রেখা টানে।
কি আর করা,
জীবন অবধি পিছু হটতে হটতে
অভ্যেস হয়ে গেছে।
বাসার উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই দেখি,
মেইন গেটের কাছে বেঞ্চিতে অফিসের বস বসা
আমায় দেখে আতকে উঠে বলল,
অফিসে যাওনি?না,ট্রেন ফেল করেছি।
বস তাহার ঘন্টা বাজাতে শুরু করলেন,
বাজনাতে তাল মিলালো একটি নারীর খিলখিল হাসি
বুঝলাম বসের স্ত্রী,
আর সে জন্যই এত বসগিরি জাহির।
পাশে তাকালাম,অবাক হলাম,এতো মলি!
একদিন যার কাছে আমার মূল্য ছিল আকাশছোয়াঁ,
মাঝপথে ধোঁয়া,আজ ছাঁই।
জানিনা তার হাসিতে কতটা অবজ্ঞা প্রকাশ পেল,
শুধু মনে হল
পুরুষ হয়ে থাকার জন্য আমার যে টুকু অবশিষ্ট ছিল,
আজ তাও নিঃশেষ হয়ে গেল।
যারা মরা না খেয়ে কান নড়া খায়
মলি বরাবরই তাদের দলে।
অনেকদিন তার সাথে পথ চলায়
তার স্বভাব আমি জানি!
চোখ বুঝে ঘুমের ভান করে থাকার মানে হল
কায়দা খুজা
আর বুঝেও অবুঝের মত আচরণ করার অর্থ হল ফায়দা লুটা।
ইচ্ছে হল কষে একটা চড় মারি,
কিন্ত মনকে বুঝালাম
যে আমার দেহটাই মন থেকে আলাদা করে দিয়েছে,
যার কারনে দেহ নামের মাংস স্তুপে হৃদয় আজ হাজারো স্মৃতির পসরা
তাকে সামান্য শাস্তি দিয়ে হিসাবের শোধ-বোধ করি কিভাবে!
তার প্রেমের আহবানে একদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম,
আজ না হয় তার অবজ্ঞায় শুদ্ধ হলাম!