সেই সে ১৯৬৯ সাল...
যে সময়টার বলছি কথা এ সময়ে এসে
তখন ছিল ভীষণ অভাব এখানে চারপাশে,
ফুঁসছে দেশ কাঁদছে মানুষ বাংলা ভাগের অভিশাপে
স্বজন সুজন ছন্নছাড়া  মান চিত্রের পরিমাপে,
এমনি সময় দুর্দিনে বা সুসময়ের বার্তা বয়ে
এ গ্রামেরই কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে,
বিবেক বুদ্ধির আঁতুড় ঘড়ে জন্ম দিলেন নবোদয়
সামাজিক দায়বদ্ধতায় হল সংস্কৃতির সূর্যোদয় ।
ওরা দামাল ,ওরা দুষ্টু, ওরা অলস, ওরা মিষ্টি
ন্যায়ের জন্যে লড়াই করে
               বাঁশের কাঁচা ঘর করে
বিকেলে তাসের আড্ডা করে
             শরতের দুর্গোৎসব করে,
ওরা আগামীর কথা ভাবে, ভাবায় মানুষকে
হিতৈষীর বার্তা পৌছে দেয় শুভবোদ্ধার মস্তিষ্কে ।
এক সময় আকাশে বাতাসে দোল খায় কালের বার্তা
ক্রমান্বয়ে সংঘবদ্ধ হতে থাকে আবাল বৃদ্ধ বণিতা,
হামাগুড়ি ছেড়ে কৈশোরে পা দেয় নবোদয়
দুলকি চালে চলতে চলতেই আজকের বোধোদয়,
এখন এ নবোদয় উদ্দাম যুবক –
              টগবগে যৌবনের উড্ডীন ফানুস
              পিছন ফিরে তাকাবার জো নেই আর ;
       মুমূর্ষু ‘র অনেক রক্তের দরকার
       বাজারটা জঞ্জালে হয়ে আছে একাকার
       নিঃস্ব বৈষ্ণবীর হবে যে সৎকার,
এসে গেছে শরত কাশবন দোলে
সবর পাড়ার কেউ যায়না স্কুলে
সাহিত্যের চর্চাটা সবাই গেছে ভুলে
বসন্তের উৎসব হবে ফুলে ফুলে,
        শিশুরা গুনছে দিন কবে হবে মেলা
       অনেক গুনের সমন্বয়’কে করবে সংবর্ধনা,
  এতকিছু হবে যদি হতে হবে ঠিকানা
    একটা ভালো পাঠাগার আর
তড়িঘড়ি চিকিৎসার অ্যাম্বুলেন্স গাড়ী খানা,
যদিওবা আরো চাই অনেক কিছুই
মেটাতে সমাজের দায়
জানি সবকিছু হবে না একসঙ্গে তবুও
চলবে চলছে যেমন বুক ভরা প্রত্যয়
এই তো আমাদের পরিচয়,
     এই তো নবোদয় ,
     এই তো নবোদয় ।।