একটা গোলাপ বাগে ছিল, হাসছে মিটি মিটি
বলছে আমায় ভালোবাসতে লিখতে তাকে চিঠি ।
গোলাপ সে তো জানে নাকো, আমি কাব্য লিখি
গোলাপ দেখি, পাপড়ি দেখি, কাঁটা হেরে ছন্দ শিখি ।


একটা শালিক আঙিনাতে উড়ছে ফুরুৎ ফুরুৎ করে
গাইছে গান গলা ছেড়ে আমার বিরহের সুর ধরে,
শালিক সে তো জানে নাকো, আমি কাব্য লিখি
বিরহের গান আমার প্রিয়, আমি আপন করে রাখি ।


একটা পলাশ ফাগুন ছাড়াই আগুন হয়ে ফুটল
লাল দিগন্তের ভয় দেখিয়ে আমায় মাথা ঠুকল,
পলাশ সেতো জানে নাকো, আমি কাব্য লিখি
শীত বসন্তের হিসেব গুনে পলাশ বকুল আঁকি ।


একটা মরা নদী ছিল, বর্ষা দিনে বেশ বইছিল
কলকল ছলছল করে আমায় ভয় দেখাচ্ছিল,
নদী সেতো জানে নাকো, আমি কাব্য লিখি
নদী তটের ক্যানভাসে স্মৃতিরা হয় পাখি ।


এক শরতের বিকেল বেলায় আকাশ মেঘে ঢাকল
হাসছে আকাশ দোলছে মেঘ ঝড় বাদল আসল,
আকাশ সে তো জানে নাকো, আমি কাব্য লিখি
শরতের কাশবনেই আমার শব্দ পুঁতে রাখি ।