শ্রাবণ ধারার প্লাবন প্রাতে
জল থৈ থৈ দিগ্ দিগন্তে,
অনিল ধারার সলিল স্রোতে
কল কল রব সীমান্তে ।
কন্টক তারের বেড়ার পায়ে
প্রণাম করে যায় বয়ে,
যত জঞ্জাল বোঝা সব নিয়ে
ওপাড়ে যায় গান গেয়ে ।
এপাড় ওপাড় দু পাড় ভাসে
শুষ্ক ধরা উথলে উঠে,
রাম রহিমের স্বপন হাসে
ঊষ্ণ আবেগ কলি ফোটে ।
হিমালয়ের গা বেয়ে কোটাল
উত্তাল স্বরূপ মহিমা,
ভাসায় সবুজ ভাসায় চাল
উদ্বাস্তু নাচার দেশ-মা ।
নিরাশ্রিত জীব জন্তু বিপন্ন
অস্তিত্বের রক্ষার জন্য ,
সমব্যথী প্রতিবেশী উদ্বিগ্ন
রফা নিদর্শন অনন্য ।
তবে কেন ভেদাভেদ তামাশা
লড়াই এদেশ ওদেশ,
চলো সবে করি পণ এই বর্ষা
মুছে দিক দেশ বিদেশ ।
এক সুর এক প্রাণ একাত্ম
এক প্রাতঃ এক দিনান্ত,
এক সমীরণ এক আকাশ
এক সীমানায় দিগন্ত ।
একই দুঃখ ব্যথা এক কান্না
সাগর নদী খড়া বন্যা,
এক শোষণ পীড়ন যাতনা
পাহাড় সমতল কন্যা ।
বরষার দিনে আকাশ কোণে
একই মেঘ ঘনঘোর,
মিছে শুধু আমাদের বানানো
সীমানা জ্যামিতিক ডোর ।।