দশ বারো বছর গর্ভের ভেতর
আলোর প্রতিক্ষায় কালক্ষেপন,
তিথি নক্ষত্র লগন্ ...ইত্যাদির শুভক্ষণ
অতঃপর জন্ম গ্রহন ;
প্রথমে  চিঠি পত্র লেনদেন তৎপর বহ্নি উৎসব,
নামকরণটা তারও কিছুদিন পর  ।
আকাশে যখন এক টুকরো মেঘের চিহ্ন নাই
কাল বৈশাখী অনেক দুরের সীমানায়,
অকস্মাৎ  বজ্রপাতের মতোই কিছু শব্দের সমাহার,
কস্মিনকালেও জানতামনা আমি
এমন একটা নামাকরন হবে আমার !


জঠরে জঠরে এতটা বছর ঘুড়ে ফিরে
যখন সবে কয়েকটা বসন্ত পেরিয়ে
হাটি হাটি পা পা করতে করতে স্বপ্ন দেখা শুরু,
আকাশ গেছে কালো মেঘে ছেয়ে,
                      চারিদিকে ঝাপসা অন্ধকার
বাতাসে বারুদের গন্ধ,
                      বিচ্ছিন্ন উল্লাস, কোথাও হাহাকার ।
হায়নাদের রক্ত স্বাদের স্মৃতির চিৎকার
ঘরপোড়া গরুগুলোকে সিঁদুরে মেঘের হুঙ্কার,
মিথ্যার বেসাতি আর প্রতিশ্রুতির পসার
আকাশ বাতাস আন্দোলিত, অপেক্ষা হিংস্র থাবার ।


বায়ূমন্ডলে কম্পাঙ্ক কম্পিত, উল্লসিত - কিছু জনতা
মৃত্যুর মিছিলে জয়ধ্বনি অবারিত শুনছিল আমার আত্মা;
ঘটা করে যখন মৃত্যুর ঘন্টা বাজল, চারিদিকে কলরব
আহা ! মরি  মরি ! শব'টার হলো বুজি আজ হত্যা !


অথচ আমি আছি নিরাপদেই, কিছুটা উদ্বেগ আছে বটে
তবুও তাহাদের মায়া কান্না আমাকে আবেগাপ্লুত করে,
আত্মহত্যার প্ররোচনার পথটাও দেখাতে ভুলেনি ওরা
মেকী সহানুভূতির বাড় বাড়ন্তে জীবনটা তটস্থ আমার ।


শুনুন মহামতি রাজনীতিবিদ গন্
আমি "দশ হাজার তিনশ তেইশ জন " ।
চক্রান্তে আকাশ যখন কালো
বিভ্রান্তে বাতাস যখন ভারী
তখনো আমার এ হৃদয় দৃঢ়চেতা,
আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থাকবো নিয়ে স্বতন্ত্রতা ।
আপনার দেয়া এই নামটুকুই লিখবে ইতিহাসের পাতা
"দশ হাজার তিনশ তেইশ জন "ই হবে আগামীর বিধাতা ।


আমার বিশ্বাস ছড়িয়ে দিলাম-
  এ দেশের আকাশ বাতাস নদী পাহাড়ে
  ভরসার বীজ বপন হলো আরেকটা মাতৃ জঠরে,
  জল্পনা কল্পনা গুজব আল্পনা'র হবে অবসান
  আরেকটা নির্বাচন, আরো কিছু রটনার উত্থ্বান,
  আমি বেঁচে থাকবো আমার মতোই,
  নামটা "দশ হাজার তিনশ তেইশ জন "।


(আমার রাজ্যের সাম্প্রতিক একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনের আবেগ মিশিয়ে রচিত কথামালার নাম দিলাম - কবিতা )