পাখির কূজন মুখরিত শিশির স্নাত প্রাতে
সুর্যালোকের আবাহনীর আবছা আলোতে
পৃথিবীর কোলাহল যখন শুরু হতে যাচ্ছে
কর্ণকূহরে পশিল আর্তনাদ...
     " কে আছ, বাঁচাও, বাঁচাও আমারে"।
সোনা ঝরা স্নিগ্ধ সকালে মিঠে রোদ গায়ে মেখে
গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়া পাশে রেখে
হুরমুড়িয়ে কূয়াশার বুক চিঁড়ে ঊঁকি মেরে দেখি
অমলের পিশিটা জ্বলছে আগুনে দর্শক অনেকেই ।
মেকি কান্না কাঁদছে কয়জন এগুচ্ছে না কেউ
চাদরটা দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম আমি একা ফেউ ।
তড়িঘড়ি গাড়ি ডেকে হসপিটাল যেতে যেতে
গন্তব্য হল তার লাশ ঘরে পোস্টমর্টেমের ডেকে,
প্রভাতী রোদের মোলায়েম উত্তাপ মেখে যৌবনে
ঝঞ্ঝাট শেষ হল  সাঁজের বেলায় চিতার আগুনে ।
ফিরে যেতে যেতে দু-চার জন, করছিল আক্ষেপ
"আহারে ! বেচারীর জীবনটা বড়ই সংক্ষেপ,
বিয়ে থা করেনি, ভাইয়ের সংসারে কালবিক্ষেপ
জীবনের ইতি বুজি এতটাই মর্মান্তিক, অধিক্ষেপ ! "
এই হিমু পিশি, মানে হিমানী, ছিল সবার পিশি
গাল ভরা হাসি আর বুক ভরা আদর দিবানিশি,
আমিও পেতেম, সবাই যেমনটা পেত ।
সুশ্রী ছিলনা বলে বয়স কালে বিয়েটা হলনা
বিষর্জন দিয়ে সেই কবে সব বেদনার
আঁকড়ে ধরেছে এই সংসার ;
তবুও অনাদর অবহেলা অবজ্ঞা যে
প্রতিদিনের সঙ্গী ছিল তার ;
তিরষ্কারের শেষ ঠিকানা বুজি এই আত্মাহুতি !
নিশ্চয়-ই অনাখাঙ্খিত অনভিপ্রেত ।