সেদিন কদমের ডালে বসা কোকিলের গান শুনেছি দু'জন,
আকাশ ভরা ডালায় তারাদের মিছিলও দেখেছিলাম বেশ করে।
আজ কেমন আছো? কেমন বাজে তোমার নুপুরের ঝংকার?
কেমন করে দুলে তোমার খোলা চুল?


সেদিন তোমার হাতে গোলাপের বদলে  রক্তজবা তুলে দিয়েছিলাম,
তুমি অবাক না হয়ে বলেছিলে," কি ভেবেছ! তোমার গোলাপকে দেখে  কি প্রকৃতির গোলাপ লজ্জ্বা পাবে?"
ফুল কখনো লজ্জ্বা পায় না।
আমি ভাবিনি অন্য হাতের ফুল তোমার বুকের মনুষ্য গন্ধে ব্যকুল হবে।


আমি অহমিকা ভরে আকাশকে বলেছিলাম,
"হে আকাশ, তোমার বুক বিশাল হতে পারে;
তার চেয়ে বিশাল, যে বুকে আমার স্থান।"
আজ আমি অতি ক্ষুদ্র দেয়ালে বন্দী ।।
তোমার এলোকেশের গন্ধ নিয়ে আজ কেউ ঘুমিয়ে পড়ে তোমার কাঁধে ।


জানি তোমার আজও হাসি উল্লাসে কাটে বৃষ্টি দুপুর,
আমি আজ মেঘের মিছিলের দিকে তাকিয়ে থাকি; আর বলি,
"হে আগন্তুক, একদিন আমি তোমার পরিচিত ছিলাম;
যেদিন প্রিয়ার চুলে হারানোর দাবি ছিল ।
আমায় বল কি করে মেঘ হবো?
একবার তাকে আগলে ধরবো বৃষ্টি হয়ে ।


এই যৌবন, এই প্রেম কোন কিছুই বৃথা নয়,
তাহলে তো আর মিছেমিছি বাতাস হতে চাইতাম না।
বাতাস হয়ে তোমার চুলের গন্ধ নেব আরেকবার;
দল ছেড়ে তোমার শরীরে লেপ্টে যাব আলতো করে।
তোমার অনামিকা ধরার দাবি না হয় ছেড়ে দেব; আজ এই বৃষ্টির কান্নার শেষ দাবিতে।