আমার আকাশে নীলের যে অত্যাচার
এক সময়, তার মাঝে হারাতাম পাখি হয়ে,
আজ তোমার একান্ত নিজের ঝর্ণা প্রবাহে হারাই
তোমার বুকের মাঝে তিলের যে চাঁদ, আর;
সে আকাশের নক্ষত্র, গভীর নাভি আমায় টানে খুব করে।


আগে, আগ্নেয়গিরি শুনলেই ভয়ে তটস্থ হতাম,
এখন আমার আগ্নেয়গিরিতে ভয় নেই।
তাই তোমায় বাহু বন্দী করতে ভালোবাসি,
প্রচণ্ড উন্মাদনায় উত্তপ্ত চুম্বন আঁকি তোমার গোলাপে;
তোমায় নরম হাতের তীক্ষ্ণ নখ আমায় বিক্ষত করে।
আর ঠোঁট? সে চুম্বনে শিউরে ওঠে, জীবন পায় নিঃশ্বাসের বজ্রপাত।


ভরা বর্ষা আমার ভালো লাগতো না,
এখন আমি ভেজার সুযোগ খুঁজি।
বজ্র সম যে নিঃশ্বাসের গভীরতা দাও, তাকে ভালোবাসি,
যেন আষাঢ়ের ধুম্র মেঘদ্বয়ের তুমুল সংঘর্ষ।
আজ না হয় লজ্জ্বা হোক, বর্ষার আকাশের নীল।
আজ না হয় চলো, বর্ষণের নিমন্ত্রনে চিঠি লিখি।