তােমার কণ্ঠ আজও শােনা গেল না
তাই মিলনের সুর আজও গাওয়া হল না।
তুমি ছিলে দূরত্বের দুরদেশিনী
মায়াবী হরিণী নয়নে ক্ষুধার্ত প্রাণ হরণী।
যেন বশীভূত হয়েছিলাম আমি
আমার কালের যাত্রা যেন গিয়েছিল থেমে।
আমার উষ্ণ শাস যেন মন্থর গতিতে ছুটেছিল..
তুমি স্বপ্ন হয়ে বারংবার এসেছিলে, 
স্বার্থের মত অন্ধ রজনী বেলায়
তােমার উষ্ণ শ্বাস যেন অনুভব করেছিলাম,
সেদিন যেন পেয়েছিলাম প্রেমের অফুরান সুধারস।
তবু আজও তােমার কণ্ঠ শােনা গেল না
তাই মিলনের সুর আজও গাওয়া হল না।

আজও তুমি বার বার ব্যথা হয়ে জেগে ওঠো
তবুও বুকের ওপর হাতটি রাখে না কেউ
জীবন পথে শরীর থুবড়ে পড়ে যায়
তবুও আঙুলটি ধরে না কেউ।
বুঝেছি সেদিন হতে আজও তুমি নেই
তোমার জীবন যেন অন্য পথে ধাবমান।
পাহাড়ের গায়ে অনেক কষ্টে বেড়ে ওঠা
বৃক্ষের ঐ অঙ্কুর পদতলে রেখে
শৃঙ্গাদশ জয় করতে চেয়েছিলাম আমি।
পাহাড় আমায় নিক্ষেপ করে তার তলদেশে, 
তুমি নেই – থাকলে আমার আঙুলটি ধরতে।
তুমি অপ্রাপ্তেই মর্মে বাজো চিরদিবস
আজও তােমার কণ্ঠ শােনা গেল না।
তাই মিলনের সুর আজও গাওয়া হল না।

কলমের বলপেনে তুমি চলেছে অবিরত
অফুরন্ত ব্যথার সাগর ছুঁতে
যেখানে একরাশ ব্যথা তােমার অপেক্ষায়।
হাতছানি দিয়ে যায় ছােট ছােট স্বপ্নেরা, 
তবে তারা নিম্নগামী।
ব্যথা তুমি আর কতকাল এভাবে চলবে বলাে, 
সুখের অসীমে তুমি ছায়া কেবল।
যেখানে সুখের বার্তা দিয়েছিল প্রণয়ের মৃদু বায়ু
সেখানে এলে তুমি ব্যথা হয়ে।
প্রাপ্তি আমার আর হল না,
অপ্রাপ্তিতেই তুমি রয়ে গেলে হৃদ মাঝারে।