শেষ সাক্ষর
   ✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


জীবনের অনন্ত পথে চলতে-চলতে আজ আমি ক্লান্ত।
একাকীত্ব-নির্জনতা-নীরবতার সুরে বাজে বেলা শেষের
গান প্রতিমুহূর্ত।
তবুও তোমার কনিষ্ঠ ধরে, পায়ে-পা মিলিয়ে, বসন্তের
প্রারম্ভে পাতা ঝরা রঞ্জিত পথে পুষ্পের সুগন্ধ নিতে-নিতে
পথ চলা স্মৃতি রেখা অঙ্কিত করা হইনি কোনদিন।


এ-যে আমার বড়ো ব্যর্থতা, অপূর্ণতা অন্তরে ক্ষত যে বেদনার
রক্তাক্ত বারি ঝরে, তা সাধারণ নয় কোন অশ্রুধারা।
শরৎ-স্নিগ্ধ শিশির থেকেও উত্তম কোন জল বিন্দুতে, তোমার
চরণ রাঙানো চলছে আমার প্রস্তুতি।


কারণ আমি ভালোবাসি, ভালোবাসায় ভালোতে করি বসবাস।
তাই যে প্রাণ প্রেম নিবেদনে নির্মল হয়, সে তোমাকে পাবার
লালসায় ভালোবাসায় বাঁধতে চাইনি কোনদিন-
কেননা অপবিত্রতা আমার মনকে করে ক্ষয়।


ছুটন্ত-ঘুরন্ত-গ্রহ-নক্ষত্রাদি রাশি পরিক্রমায়, শুক্রাচার্য ঘন-ঘন
কামনার ছন্দঃ তুলে প্রদীপের তলদেশে যে প্রকৃতির মাঝে
বিলিন হতে চায়, তা রোধ করা কঠিন হলেও কবির প্রেমের
মুক্ত অক্ষরে লিখি নিষ্কাম প্রেমের অপ্রকাশিত গ্রন্থ।


তাই তোমার রঞ্জিত চরণের নূপুর হওয়ার বাসনা থাকলেও,
পদচারণ মেলেছে অঙ্গে।
তৃষিত চোখের চকিত চাউনি চোখ খোঁজে অনুক্ষণ,
তবু তোমার তেজস্বীতে পলক পড়েছে, শ্রদ্ধায় নত হই,
ভুলে যাই যত লালসা মিশ্রিত গান।


ওগো-কত আর তোমায় বাঁধবো রাগ-রাগিণী, সুর সঙ্গীতে?
কত খুঁজবো গীতাঞ্জলীর অক্ষরে-অক্ষরে?
বসন্তের বেলি ফুলের মালা, অপেক্ষায়-প্রতীক্ষায় গেছে
শুকিয়ে।


এখন মরণ বীণার তন্ত্রে আজ যে বিদায়ের সুর বাজে,
সে-যে আমার বিরহ আহত আত্মার গুমরে-গুমরে কান্নার  
প্রতিধ্বনি।
তবু এই ইতি-হত সময়ে হাত বাড়িয়ে ডাকলে-ও কেউ দেয়
না দেখা, ওগো তুমি বোঝনা আর আমায় বুঝবে-ও না কোনদিন.।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সাল
বাংলা ২৮ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ ( সোমবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।