যৌবনের দূত
   ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


দিনের শেষে রৌদ্রছায়ায় রং ঢেলে চিত্র আঁকছে গোধূলি।
অনামিকা ছুঁয়ে ঝুলে থাকা ক্লান্ত রবির আলোকরশ্মি
ঠোঁটে  চুম্বন দিয়ে জানালো বিদায়।
ঝরে পড়া কৃষ্ণচূড়ায় রঙিন হলো অচেনা পথ,
বেজে উঠলো দেবদাসীর চরণে নূপুরধ্বনি
মন্দির প্রাঙ্গণে।
নির্জন পথ ধরে কাছে এসে ছুঁয়ে যাওয়া
দখিনা বাতাসে আমি খুঁজছি প্রেম-প্রেম গন্ধ।
দূরে দাঁড়িয়ে হিমাদ্রি ছুঁয়েছে নীলিমার নীল,
চূড়া  বেয়ে ঝরে পড়া ঝর্ণা তলে
ভিজচ্ছে যৌবনের দূত কাল ভৈরব।
উপত্যকায় ভেসে চলা ডিঙি নৌকায় বসে
কবির হচ্ছে কবিতার প্রসববেদনা।
এখন দৃষ্টিতে পাখিদের ঘরে ফেরার ব্যস্ততা,
তবু বুকে শূন্যতার কাব্য।


আজ সবুজ বনানীর সরোবর কুলে
মৃগ মিলনের দৃশ্য ছুঁয়েছে মন।
জেগে ওঠা যৌবনা স্পর্শ কাতরে আপন ঠোঁট
তুলেছে  রাঙিয়ে, প্রেমিকার কাজলে আঁকা
চোখে এখন দুর্লভ স্বপ্ন।
মাধবী লতা জড়িয়ে ধরে খুঁজছে শরীরের গন্ধ,
ওষ্ঠ অধরে লেপটে থাকা চুম্বনের লালা
আমাকে করেছে প্রেমিক।


এখন কবিতার দিগম্বরী বুকে আদরে আদরে
আমি তুলেছি কাব্যলহরী।
দুই পর্বতের মধ্যবর্তী উপত্যকায় প্রবাহিত হচ্ছে
কামনার অমৃত ধারা।
নেশা নেশা কণ্ঠে প্রকৃতি বলছে ভালোবাসি-ভালোবাসি।
কানে কানে বললাম, আমাকে নাও -
আমাকে বিলীন করো।


রচনাকাল ১৩ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ,
২৯ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।