স্বাধের ঘর
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


বেঁধেছি এমনি ঘর শুন্যের উপর পোক্ত করে,
কোথায় রাখবে আল্লাহ মানুষকে মরার পরে।
হাসান রাজা ঘর বাঁধেনি ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়া,
মাটির নিচে ঘর সাজাতে পাগল হয় কান্দিয়া।
লালন ফকির ঘর বুঝেনি কাটায় গাছ তলায়,
বুকের মাঝে ঘর বেঁধেছে প্রভুর বাসের আশায়।
লোকনাথ বম্মচারী করেনি কভু ঘরের সন্ধান,
পুজা ধ্যানে জ্ঞানে ঘরে বসে খুঁজেছিল ভগবান।


ঘরের ভিতর দেহ লুকিয়ে মনের ঘরে শ্বশান,
ঘর থেকে বাহির করিল ইবলিস মহা শয়তান।
কুমন্ত্রণা ধোকার সুরে পর করিল আপন ঘরে,
আশ্রয়ের ঠিকানা আমি পাব কি খুজে ঝড়ে।
বাঁধিব স্বপ্ন স্বাধের ঘর ভালবাসার খুঁটির উপর,
তুফান ঘুর্ণিঝড়ে যেনো কভু হয়না ঘর নড়বড়।
সত্য ন্যায়ের দিলাম বেড়া ঘরের চারিপাশে,
সততা পাহারাদার রাখলাম ধোকার বাতাসে।


ধোকার ঝড় যদি আসে ঘর ভাঙ্গতে কোনদিন,
তাইতো যত্নে চালে দিলাম ধৈর্য্যের ঢেউ টিন।
প্রতারণা বৃষ্টি বারিজল ঘরে যদি ঢুকে অনর্গল,
পরম আত্মার শক্ত বন্ধনে শ্রদ্ধা ভক্তি রাখি সম্বল।
ভাল মন্দের দিদ্ধা দন্ধে আসিলে কভু মহাপ্রলয়,
পাপ পূণ্য ব্যবদানে ঘরকে দিব নিরাপদে আশ্রয়।
লোভে হিংসা বিদ্ধেষ সিঁধ কাটে অহংকারে চোর,
আরাধনা উপাসনায় অতন্দ্র প্রহরী থাকবে অন্তর।


অভাব অনটনে দুঃখ কষ্ট অনলে যদি জ্বলে ঘর,
অতৃপ্ত বাসনা গুলি আনন্দে করব সুখের নহর।
হাসি খুশির ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে সারা জীবন,
বুকের ভিতর ছোট্ট ঘরে দয়ালকে করে আমন্ত্রণ।
মসজিদ মন্দির গির্জা ন্যায় পবিত্র রাখব এ ঘর,
বসবাসের নিত্য সঙ্গী প্রভুর সাথে কাটবে প্রহর।
হৃদয়ে অনুভবে বিশ্বাসের দিলাম ছাউনির চাল,
অফুরন্ত অনন্ত সুখের বাস চিরশান্তিতে মহাকাল।