🍟গণহত্যা🍟
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে,
নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়,
পাকহানাদার ও তাদের দোসর মিলে।
২৫ শে মার্চ কালো রাত্রে গণহত্যা অনুষ্ঠান,
সঠিক জরিপ হয়নি নির্ধারন,
অবশেষে নিহত ৩০ লাখ বাঙ্গালীর প্রাণ।
অনির্দিষ্টকালের স্থগিত জাতীয় অধিবেশন,
ইয়াহিয়া খানের ঘোষণার বিরুদ্ধে,
পূর্ব পাকিস্তান শুরু করে বিক্ষোভ আন্দোলন।


পাকিস্তান সরকার করে সেনা মোতায়ন,
আন্দোলনে প্রতিরোধ গড়তে,
গুলি বর্ষনে নিহত হয় শত শত জনগণ।
ঢাকা চট্টগ্রাম গর্জে ওঠে বিক্ষোভ মিছিলে,
সারাদেশে অসহয়োগ আন্দোলনে,
প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সরকার হারিয়ে ফেলে।
পাকিস্তান সেনা অতর্কিতভাবে সেননিবাসে,
বাঙ্গালী সদস্যের উপর হামলা চালায়,
বন্ধি করে অফিসার জওয়ান হত্যা করে উল্লাসে।


পাক বাহিনী ট্যাঙ্ক দিয়ে ঢাকা শহর ঘিরে,
আন্দোলনরত জনতা প্রতিরোধে,
রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
মেশিনগানের গুলিতে বাড়িঘর বিধ্বস্ত করে,
মধ্যরাতে হামলা চালায় ভার্সিটি হলে,
নির্মমভাবে শিক্ষক ছাত্রের প্রাণ নিল কেড়ে।
পত্রিকা অফিসে আগুন ধরায় সঙ্গে ঘরবাড়ি পুড়ে,
ঢাকার অলিতে গলিতে গুলি বর্ষণে,
অভিহিত গণহত্যায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।


কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল সংবাদপত্রে খবর ছাপাতে,
সে কারণেই বিশ্ব সম্প্রদায়,
বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে পারেনি জানতে।
বিদেশী সংবাদপত্রে ছাপে গণহত্যার প্রতিবেদন,
বিশ্ব জনগন তীব্র নিন্দা ঘৃনায়,
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ,বাংলাদেশ ব্যাপারে সচেতন।
সংবাদপত্রে প্রতিবাদে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে,
পাকিস্তানি নৃশংসতার বিরুদ্ধে,
আন্তর্জতিক জনমত ক্রমান্বয়ে জাগ্রত হতে থাকে।


বাংলার মাটিতে আজো রয়েছে হানাদার,
পাকবাহিনীর চেয়েও জঘণ্য,
তাদের কবল থেকে নেই জনগণের নিস্তার।
টেলিভিশনের সংবাদে ,পত্রিকায় প্রতিবেদন,
সভা কিংবা জাতীয় অনুষ্ঠানে,
গুলি হামলা চালায় ,ঘটায় বোমা বিস্ফোরণ।
ছুটছে গুলি মরছে মানুষ চলছে গণহত্যা,
প্রতিবাদের প্রতিদান পায়,
সপরিবারে নিহত আজো দেশের জননেতা।